|| সারাবেলা প্রতিনিধি, বাগেরহাট ||
স্ত্রী আসমা আক্তার নুপুরের করা মামলাকে মিথ্যা দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করলেন স্বামী মো. শাহাদত হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে শাহদাতের বোন রেশমা আক্তার, ভাই শহিদুল ইসলাম, নুপুরের বাবা মো. হারুণ হাওলাদার, মা মোসাম্মৎ লাইলি বেগম, বোন সুখী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
মো. শাহদাত হোসেন করিম বলেন, ২০২০ সালের ৭ই জুন জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার মো. হারুণ হাওলাদারের মেয়ে আসমা আক্তার নুপুরকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করি। সংবাদপত্রে কাজের সুবাদে আসমা ঢাকায় থাকতন। বিয়ের মাত্র দেড়মাসের মাথায় আমার স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। সংসার বাঁচাতে উপায় না পেয়ে আমি তাকে আমার গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উদয়তারা বুরিরচরে নিয়ে আসি। ব্যবসার কাজে তাকে বাড়িতে রেখে ঢাকাতে আসলে তিনি (আসমা) বাড়ি থেকে তার কাপড়চোপড়, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও বাড়ির কাজের জন্য রাখা ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে আসেন। পরে আমি মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে আসমা আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিষয়টি আমার শ্বশুর-শাশুড়ীকে জানাই। তারাও তাদের মেয়েকে আমার কাছে আসার জন্য বুঝায়। আমি আমার স্বর্ণালংকার ও টাকার জন্য চাপ দিলে একই বছর ১২ই অক্টোবর আমার বৃদ্ধ মা ও আমাকে আসামী করে মামলা করেন। ওই মামলায় আমার শ্বশুর-শাশুড়ী আমাকে নির্দোষ বলে আদালতে সাক্ষ্য দেয়।
আসমা আক্তারের নারাজির কারণে আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে দায়িত্ব দেয়। পিবিআই মামলাটির তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়। যা সর্বৈব মিথ্যা। আমি এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই।
আসমা আক্তার নুপুরের বাবা মো. হারুণ হাওলাদার ও মা মোসামম্মৎ লাইলি বেগম বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে মো. শাহদাত হোসেন করিমের সাথে নুপুরের বিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু নুপুর তার সহকর্মী সাংবাদিক মারুফ মালেকের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে যাওয়ায় মো. শাহদাত হোসেন করিমের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। এমনকি আমাদের ছোট মেয়ে সুখীকে নিয়ে মো. শাহদাত হোসেন করিম পালিয়ে গেছে এমন অপপ্রচারও চালিয়েছে আমার বড় মেয়ে আসমা আক্তার নুপুর। আমরা শুধু এটা বলতে চাই আমার ছোট মেয়ে খুশী এখন মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে আমাদের কাছেই আছে। সে কখনও কোথাও পালায়নি। নিজের স্বামীকে হেনস্থা করতে আপন ছোট বোন সম্পর্কে আজেবাজে কথা বলছে আমাদের বড় মেয়ে নুপুর।
সুখী আক্তার বলেন, বড় আপার স্বামী মো. শাহদাত হোসেন করিমের সাথে কখনই আমার অন্য রকম কোন সম্পর্ক ছিল না। দুলাভাই হিসেবে যতটুকু কথা হয় তাই। বড় বোন হয়ে ছোট বোনের নামে এমন বাজে কথা বড় আপা কেন বললো তা আমি জানি না। (এসমময়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কিশোরী সুখী)
শাহদাতের বোন রেশমা আক্তার ও ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম ছোট ভাইয়ের বউ বাড়িতে মাকে নিয়ে থাকবেন। কিন্তু মায়ের সাথে তো থাকল-ই না। বরং এখন আমাদের উল্টো হেনস্থা করছে। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই।
মো. শাহদাত হোসেন করিমের স্ত্রী আসমা আক্তার নুপুর বলেন, আমার স্বামী অনেকগুলো বিয়ে করেছে। বিয়ে করা তার নেশা। মামলা থেকে বাঁচতে সে আমার নামে এসব অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন।
পরকিয়া সম্পর্কে অভিযুক্ত সাংবাদিক মারুফ মালেক বলেন, নুপুর আপা একসময় আমার সহকর্মী ছিলেন। সে শুধু আমার পরিচিত। আমার সাথে তার অন্য কোন সম্পর্ক নেই।