স্ত্রীকে খুন করে পালালেন স্বামী

বাবার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার মা তাদের নানার বাড়ি বদরপুর-কালিয়াজুড়িতে ভাড়াবাসায় থাকতেন। তার বাবা দেলোয়ার পালপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। মাঝে মধ্যে রোকসানা বেগম ওই বাড়িতে এসে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও রোকসানা দেলোয়ারের বাসায় যায়। তারপর থেকেই তার মায়ের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা ||

কুমিল্লায় স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার সদর উপজেলার পালপাড়া এলাকায় স্বামী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি থেকে স্ত্রী রোকসানা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বামী দেলোয়ার হোসেন পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত রোকসানা বেগম এক মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের মা। তিনি কুমিল্লা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরি করতেন। শহরের কালিয়াজুড়ি এলাকার আবদুল মান্নানের মেয়ে রোকসানার স্বামী দেলোয়ার হোসেন পেশায় একজন পরিবহন শ্রমিক। পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা তিনি। বাবার নাম গফুর মিয়া।

নিহতের মেয়ে স্বর্না আক্তার জানার, বাবার সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার মা তাদের নানার বাড়ি বদরপুর-কালিয়াজুড়িতে ভাড়াবাসায় থাকতেন। তার বাবা দেলোয়ার পালপাড়ায় ভাড়া থাকতেন। মাঝে মধ্যে রোকসানা বেগম ওই বাড়িতে এসে থাকতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতেও রোকসানা দেলোয়ারের বাসায় যায়। তারপর থেকেই তার মায়ের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রোকসানা বেগম তাঁর স্বামীর বাসা পালপাড়ায় যাবার কথা জানিয়েছেন। সকালে আর অফিসে আসেন নি।

স্বর্ণা আক্তার আরও জানান, তার বাবা দেলায়ার এর আগেও বাড়িতে ডেকে এনে রোকসানাকে মারধর করেছে। এবারো বাড়িতে ডেকে নিয়ে গেলো, কিন্তু মা ফিরলো লাশ হয়ে।   

নিহতের বোন পারুল জানান, সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে পালপাড়ার বাড়িতে এসে ঘর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান তারা। পরে জানালা খুলে দেখেন রোকসানা বেগমের দেহ পড়ে আছে। এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

ছত্রখিল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক শরীফ রহমান জানান, রোকসানার শরীরে পাঁচটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পিঠে ও হাতের নিচে আঘাত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পালিয়ে রয়েছেন। মরদেহ কোতয়ালী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। 

সংবাদ সারাদিন