সুনামগঞ্জে বাবা, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করায় আলফু মিয়ার

টিউবওয়েলের ভারি হাতলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বসত ঘরের ভেতরেই তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আলফু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ নিহত তিন জনের লাশ উদ্ধার করে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||

সুনামগঞ্জে বাবা, স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে আলফু মিয়ার। জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ নূরুল আলম মোহাম্মদ নিপু বৃহস্পতিবার বিকেলে এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আলফু মিয়া দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম পাগলা ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁওয়ের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে। তার বয়স ৪১ বছর। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর রাতে ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে আলফু মিয়া পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী বিউটি বেগম ও মেয়ে আফিফা বেগমকে মারধর করেন। এসময়ে বাবা আলা উদ্দিন তাকে শান্ত করতে তার ঘরে ঢুকলে বাবাকেও টিউবওয়েলের হাতল দিয়ে মারধর করেন।

টিউবওয়েলের ভারি হাতলের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বসত ঘরের ভেতরেই তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আলফু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে পুলিশ নিহত তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। 

ঘটনার পরদিন নিহত আলা উদ্দিনের আরেক ছেলে শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে আলফু মিয়াকে আসামি করে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৬শে ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আলফু মিয়ার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। মামলার দায়ের পর থেকে এবং বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আলফু মিয়া আদালতে হাজির ছিলেন। তার পক্ষে মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট রমজান আলী।

সংবাদ সারাদিন