|| অনলাইন প্রতিনিধি, নীলফামারী ||
সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে নিচ্ছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। আর এসব গাছ কাটা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে জেলার জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. তবিবর রহমানের বিরুদ্ধে।
এলাকার লোকজন জানান, রোববার সকালে ইউনিয়নের চেংমারী এলাকায় তিস্তা সেচ খালের পশ্চিম তীরে সামাজিক বনায়নের বেশকিছু সংখ্যক গাছ কেটে ফেলা হয়। কেটে ফেলা গাছগুলো বিকাল ৩টার দিকে একই এলাকার লেবু মিয়ার করাতকলে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ট্রলি ড্রাইভার দুলাল গাছগুলো নুর হোসেন ও কামরুজ্জামানের বলে মিল মালিক লেবু মিয়াকে জানান। পরে সেখানে ইউপি সদস্য তবিবর রহমান এসে গাছগুলো কাটতে বললে, মিল মালিক লেবু জানান তার মিলে এই গাছ কাটা সম্ভব নয়। এরপরই শুরু হয় গাছ নিয়ে নাটকীয়তা।
পরদিন সোমবার লেবু মিয়া বলেন, গাছগুলোর মালিক নুর হোসেন ও কামরুজ্জামান। কিন্তু সেখানে দাবিদার হয় তবিবর। কিন্তু, অন্য দু’জন এখনও আমার মিলে আসেনি। খবর পেয়ে, উপজেলা প্রশাসন ও বনায়নের কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তারা গাছগুলো কাটতে নিষেধ করেছেন এবং সেগুলো আমার মিলে গচ্ছিত রেখে যান। যেহেতু প্রশাসনিক জটিলতা দেখা দিয়েছে তাই এ গাছ আমি কাটতে পারবো না।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য তবিবর রহমান বলেন, স্থানীয় একটি মহল আমার বিরুদ্ধে উঠে-পড়ে লেগেছে। এই গাছ কাটার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে উপজেলা বন কর্মকর্তা একেএম রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। যারা গাছ কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের নামে নিয়মিত মামলা করা হবে।
জলঢাকার সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম ফেরদৌস বলেন, গাছগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং করাতকল মালিকের জিম্মায় রাখা আছে। যেহেতু গাছগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের তাই সিদ্ধান্ত তারাই নেবেন।
নীলফামারী ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাস্থলে সেকশন অফিসারকে পাঠিয়েছি এবং তদন্ত করে থানায় মামলা দিতে বলেছি।