সাদুল্লাপুরে ডিজিটাল প্রেমে এক মাসে ঘর ছেড়েছে ২৩ জন

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, মোবাইলে প্রেম এই মুহূর্তে বড় আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবুঝ শিশুরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ফেসবুকে অথবা মোবাইলে প্রেমে জড়িয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। প্রেমের ফাঁদে পড়া মেয়েদের অনেক পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে পর্যন্ত জানাতে চান না। আবার কোনো অভিভাবক থানায় এলেও সাধারণ ডায়েরি করেই চুপ থাকতে চান।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে প্রেম। আর এমন প্রেমের জেরে ঘর ছাড়ছে একের পর এক তরুণী-যুবতী।

জানা গেছে, মোবাইলে কথা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদানের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রেমে এক মাসেই ২৩ জন মেয়ে ঘর ছেড়েছে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায়। এদের কেউ অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী, কেউ আবার দুই সন্তানের জননী। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বিগত সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে ঘটনাগুলো ঘটেছে।

ঘর ছেড়ে সন্তানের উধাও হবার ঘটনায় অভিভাবকদের অনেকে এরইমধ্যে থানায় সাধারণ ডায়েরি অথবা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন একজনের অভিভাবক।

গত বুধবার উপজেলা পরিষদে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা। তিনি বলেন, মোবাইলে প্রেম এই মুহূর্তে বড় আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবুঝ শিশুরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ফেসবুকে অথবা মোবাইলে প্রেমে জড়িয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। প্রেমের ফাঁদে পড়া মেয়েদের অনেক পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে পর্যন্ত জানাতে চান না। আবার কোনো অভিভাবক থানায় এলেও সাধারণ ডায়েরি  করেই চুপ থাকতে চান।

এক মাসে ২৩ জন মেয়ের বাড়ি ছেড়ে পালানোর বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাহানাজ আক্তার বলেন, শিশু-কিশোরদের মোবাইল প্রেম অথবা ফেসবুক আসক্তি বন্ধ করতে কাউন্সেলিং জরুরি হয়ে পড়েছে। করোনার কারণে যেহেতু স্কুল বন্ধ তাই আমরা চেষ্টা করবো গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিশু-কিশোরদের সচেতন করে তুলতে। তবে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন