|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) ||
ব্রীজ নয় যেন মরন ফাদে পরিনত হয়েছে জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা বেহেলী বাজারের জনগুরুত্বপূর্ণ চৌধুরী বাড়ীর খালের উপরের ব্রীজটি। দীর্ঘ দিন পূর্বে এই ব্রিজের মধ্যকার ঢালাই খসে রড বের হয়ে গর্তে পরিনত হয়েছে। ফলে প্রতি দিন জীবনের ঝুকি নিয়ে সাধারণ মানুষ ব্রীজে পারাপার হচ্ছে। আর প্রতিদিনই ঝুকিপূর্ণ এই ব্রীজ দিয়ে শিক্ষার্থী রোগীসহ লোকজনকে চলাচল করতে গিয়ে ছোট বড় দূর্ঘটনার স্বীকার হতে হচ্ছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি অধিক ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় থাকলেও সংস্কারের জন্য মাথা ব্যথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলা জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের সাচনা চৌধুরী বাড়ীর খালের উপর প্রায় ২০ বছর আগে একটি গ্রামীণ ব্রীজ নির্মাণ করা হয়। ব্রীজটি প্রায় ১ বছর যাবত রেলিং এর দুই পাশে ভেঙ্গে গেছে এবং ব্রীজের বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে রড বের হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই গর্তের কারনে এই ব্রীজ দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে যানবাহন ও মানুষ পারাপার হচ্ছে। ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে রিক্সা মোটরসাইকেল ইজি বাইক সহ প্রতিদিন দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার লোক চলাচল করে। রাতের অন্ধকারে ঝুকি পূর্ণ এই ব্রীজ দিয়েই চলাচল করতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও পথ চারীরা।
এই ব্যাপারে মানবিক রিক্সা ড্রাইভার মোঃ লাবলু মিয়া জানান ব্রীজের ঢালাই না থাকায় আমি কয়েক বার অটো এবং রিক্সা ড্রাইভারদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে রাতের আধারে ব্রীজের গর্ত মেরামত করেছি। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই ঢালাই উঠে যায়। আমরা সারা রাস্তায় রিক্সা চালালেও ব্রীজে আসলে বুক ধরফর করে। যাত্রী নিয়ে ব্রীজে উঠার পর ব্রীজটি কাপতে থাকে। তাই ব্রীজে উঠার আগে আমরা যাত্রী নামিয়ে দেই।
এ বিষয়ে জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রজব আলী বলেন ব্রীজটি অনেক পুরাতন হওয়ায় টেম্পার নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা কয়েকবার সংস্কার করেছি। কিন্তু সংস্কার টিকে না। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের লোক জনের চলাচলের জন্য আর কোন রাস্তা না থাকায় এই ব্রীজের উপর চাপ পড়ে বেশি। আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাই ব্রীজটি যাতে নতুন ভাবে করা হয়।
এই ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার বলেন সাপোর্টিং রুলাল ব্রীজ প্রকল্পে এই ব্রীজটি অন্তর্ভূক্ত আছে। আশা করা যায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে কাজ শুরু করা যাবে।
এই ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ বলেন বর্তমানে ব্রীজটি নাজেহাল অবস্থায় আছে। যে কোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এই ব্রীজটি একটি জনবহুল রাস্তার উপর মরা নদীতে অবস্থিত। এই রাস্তা দিয়ে উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী উপজেলা তাহিরপুরের সাথে চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। এর আগেও কয়েক বার জেলা পরিষদ সভায় এই ব্রীজটির সমস্যা জানিয়েছি। এই ব্রীজটি নতুন করে করার জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবী জানাচ্ছি।