|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালপুর ||
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সনেকা বেগম (১৯) নামে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুর বাড়ীর লোকদের উপর। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবার ১০ আগস্ট দুপুরে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চরআদ্রা গ্রামের আফাজ উদ্দিন আদিরের ছেলে সোহেলের সাথে চর সরিষাবাড়ী গ্রামের ইনতিয়াজের মেয়ে সনেকার বিয়ে হয়। বর্তমানে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা সনেকা বেগম। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ের জন্য শ্বশুর বাড়ীর লোকজন সনেকাকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো।
শ্বশুর বাড়ীর লোকজন জানান, রবিবার রাতে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রীকে বাড়ীতে রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। সোহেলের বাবা আদির মিয়া রাত ১২টার দিকে বাহিরে বের হলে সনেকার ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। পরে ঘরে গিয়ে সনেকাকে ধর্ন্যার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। এসময় ছেলে সোহেলকে ফোন দিলে সে বাড়ীতে এসে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তখন সবাই মিলে তাকে মাটিতে নামায়। এ নিয়ে এলাকায় নানা গুঞ্জন চলছে।
নিহতের স্বামী সোহেল রানা বলেন, আমি রাতে মাছ ধরতে বিলে যাই। পরে বাবার ফোন পেয়ে বাড়ীতে এসে দেখি আমার ঘরের ধর্ন্যার সাথে স্ত্রী সনেকা ফাসিতে ঝুলছে। রাতেই সবাই মিলে তার মরদেহ নামিয়ে ফেলেছি।
নিহত সনেকার চাচি সুইটি বেগম বলেন, সোহেলের বাড়ী থেকে সকালে আমাদেরকে ফোন দিলে আমরা এসে সনেকার মৃতদেহ দেখতে পাই। জানতে চাইলে তারা জানান সে ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। কিন্ত আমরা বা এলাকার কেউ ফাসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখিনি।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মোঃ ফজলুল করিম বলেন, আদ্রা এলাকায় একজন গৃহবধু ফাসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।