শোকস্মরণে সারাদেশে জাতির পিতার শাহাদৎবার্ষিকী পালিত

নানা আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎবার্ষিকী। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।

|| বার্তা সারাবেলা ||

নানা আয়োজনে দেশের বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎবার্ষিকী। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদন।

নাঙ্গলকোট
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহি অফিসার লামইয়া সাইফুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন নাঙ্গলকোট পৌরসভার মেয়র আব্দুল মালেক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়া, কুলসুম আক্তার, সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন বিশ্বাস, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা খাদিজা আক্তার, থানা অফিসার ইনচার্জ বক্তিয়ার উদ্দিন চৌধুরী,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. ইসহাক মিয়া।

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, সমবায় অফিসার মো. কেফায়েত উল্লাহ্, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন, নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, সহকারী প্রোগ্রামার ফারুক আজম, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবের সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে পুরস্কার বিতরণ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও রচনা প্রতিযোগি-বিজয়ী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ইসলামী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল ও দোয়া।

রাঙ্গুনিয়া
স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকীতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করা হলো রাঙ্গুনিয়াতে।
তবে রাঙ্গুনিয়ার লালানগর ইউনিয়নের আলমশাহ পাড়ার হযরত খাদিজা (র:) বালিকা মাদ্রাসায় জাতির পিতার শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন না করার অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের পর তোপের মুখে পড়ে বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে দায়সারা ভাবে শোক দিবস পালন করা হয়।

দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতেও জাতীয় শোক দিবসকে সামনে রেখে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় মাসের প্রথম দিন থেকেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ১৫ই আগস্ট সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৬টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং মোনাজাত পাঠ করেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদুর রহমান।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে জাতীয় শোক দিবস কর্মসূচি পালনে সরকারি নির্দেশনা দিয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস। কিন্তু ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে কোনও ধরনের কর্মসূচি পালন করা হয়নি হযরত খাদিজা (রা:) বালিকা মাদ্রাসা। এনিয়ে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী এবং মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে।

উপজেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে শোক দিবসের নানামুখি কর্মসূচি পালিত হয়েছে সেখানে বিকাল ৪ টা অতিবাহিত হওয়া পরও হযরত খাদিজা (রা:) বালিকা মাদ্রাসায় কেন ১৫ আগস্টের কোনও অনুষ্ঠানাদি হয়নি? এমন প্রশ্নে স্বাভাবিকভাবেই খাদে পা পড়েছে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো: তৌহিদুর আনোয়ারের। পরে অবশ্য তোপের মুখে পড়ে বিকালে দায়সারা ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালন করেন মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।

রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কর্মসূচি হিসেবে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শোক দিবস পালন করা বাধ্যতামূলক।কিন্তু নির্দেশনা দেওয়ার পরও যদি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় শোক দিবস পালন না করে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো: তৌহিদুল আনোয়ারের কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মায়ের অসুস্থতার কারণে আমাকে বাসায় চলে আসতে হয়েছে। শোক দিবস পালন করতে না পারার জন্য আমি হতাশ, আমি দু:খিত। আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ, সরি’ বলে ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে বিকাল সাড়ে ৪ টায় তিনি ফোন করে বলেন, ‘ভাই আমরা শোক দিবস পালন করেছি। আপনার কাছে শোক দিবস পালন অনুষ্ঠানের ছবি পাঠাচ্ছি। শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করতে সময় একটু বিলম্ব হওয়ায় আবারো দুঃখিত।’

কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
কসবায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী নানান কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে।

সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ওশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা র্অধনমিত ভাবে উওোলন করা হয়। সকাল ১১টায় কসবা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ। বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে সকল মসজিদ, মন্দির, গীর্জাসহ অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণর্পূবক জাতীয় শোক দিবস উদযাপন করা হয়।

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দীকী, সহকারী কমিশনার ভূমি হাছিবা খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, এম.জি হাক্কানী, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ আহ্বায়ক আফজাল হোসেন রিমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, সরকারি বেসরকারী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সূধিসমাজের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

ফেনী
ফেনীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহরের পুরাতন জেল রোডে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এরপর জেলা আওয়ামী লীগের নির্মানাধীন নিজস্ব কার্যালয়ে শোক দিবস উদযাপন কমিটির আহবায়ক এডভোকেট হাফেজ আহম্মদের (পিপি) সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা ও ফেনী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাষ্টির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।

সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ জেলা কমিটির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত এ কে শহীদ উল্যাহ খোন্দকারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদের সদস্য ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বি.কম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাহান আরা বেগম সুরমা।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাষ্টার আলী হায়দার, ইফতেখারুল ইসলাম,ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলাউদ্দিন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সভায় বক্তারা বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি।আসুন আমরা জাতির পিতা হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করি। তাঁর ত্যাগ এবং তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ ধারণ করে সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী -সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।জাতীয় শোক দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

আলোচনা সভা শেষে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে শহরের বিভিন্ন স্থানে অসহায়দের নিয়ে কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করা হয়। এরপর বিকেলেও ফেনী বড় জামে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ফেনী জেলা পরিষদ চত্বরে উদ্বোধন করা হয়েছে নব নির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। উদ্বোধন করলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আজিজ আহম্মদ চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মো. গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের সদস্য সালেহ আহম্মদ হায়দার, মোহাম্মদ ফারুকসহ জেলা পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

জেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশমুখে জেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সাড়ে ছয় লাখ টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি নির্মাণ করা হয়। নান্দনিক কারুকার্য আর অসাধারণ নির্মাণ শৈলীতে গড়া বঙ্গবন্ধুর বিশাল এই প্রতিকৃতি দূর থেকেই নজর কাড়ে। উদ্বোধনের পরপরই বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিনন্দন এই প্রতিকৃতি দেখতে ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণির কৌতুহলী লোকজনকে ভীড় জমাতে দেখা যায়। ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সানজিদা আক্তার বলেন, নতুন প্রজম্মের আমরা যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, এই প্রতিকৃতিতে আমরা দিব্য এক বঙ্গবন্ধুকে দেখতে পাবো। বাংলাদেশের স্বপ্ন পুরুষ, স্বাধীনতার এই মহান স্থপতিকে আরো বেশি করে জানার আগ্রহ তৈরি হবে, জোগাবে অনুপ্রেরণা।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, জেলা পরিষদের চত্বরে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটিতে লাইটিংসহ আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে। কাজগুলো সম্পন্ন হলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিটি আরো সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে। তিনি বলেন, জেলা পরিষদে প্রতিদিনই সেবাপ্রত্যাশী বিভিন্ন শ্রেনিপেশার লোকজন এসে থাকেন। আসেন দর্শনার্থীরাও। বিশেষ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসকল শিক্ষার্থীরা এসে থাকে, বঙ্গবন্ধুর এই প্রতিকৃতি দেখে তাদের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে জানার আগ্রহ তৈরি হবে। তারা নিজেদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে অনুপ্রাণিত হবে।

ভোলা
স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এতিমদের খাবার দিলেন ভোলার জেলা জজ ড.এ.বি. মাহমুদুল হক। এ উপলক্ষে শনিবার জোহর নামাজের পর শহরের গাজীপুর রোডস্থ হামিউসসুন্নাহ দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় দোয়ার আয়োজন ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি।

এছাড়াও ভোলা বিচার বিভাগের আয়োজনে বিকেল ৩ টায় মাননীয় জেলা জজ ড.এ.বি. মাহমুদুল হক ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. সানাউল হকের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে বিচারক ও আইনজীবীদের অংশগ্রহনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে ১৫ই আগস্টে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন