|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
শীত আসার আগেই বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই কমে আসবে। ভাল এই খবরটি দিয়েছেন বিশ্বখ্যাত অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল।
তবে দেশে এই সময়ে প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে এই বিজ্ঞানি বলেন, গেল মাসখানেক ধরে দেশজুড়েই প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বৃষ্টি হলেও আবহাওয়ায় আদ্রতার মাত্রার রয়েছে বেশ বেশী। আর অত্যাধিক গরম আর উচ্চমাত্রার আদ্রতায় মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি কমে যায়।

এছাড়া উল্লেখিত সময়ে কোরবানির ঈদ থাকায় এক স্থান থেকে আরেক স্থানে মানুষের যাতায়াতও বেশি ছিল। এগুলোই ছিল ভাইরাস সংক্রমণের অন্যতম কারণ।
মানুষই এই ভাইরাস বহন করে জানিয়ে অধ্যাপক বিজন কুমার শীল বলেন, মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়াতেই এখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে করোনা ভাইরাস এখন মানুষকে সংক্রমিত করলেও, এর ক্ষিপ্রতা ও আগ্রাসি ভূমিকা অনেকটাই কমে গেছে। অনেকেই ভাইরাসের আক্রান্ত হলেও তার মধ্যে ক্লিনিক্যাল কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না। অনেকেই আক্রান্ত হয়ে আবার নিজের অজান্তেই সুস্থও হয়ে যাচ্ছেন। এটা আমাদের জন্য ভালো এবং সুখবর।
গণস্বাস্থ্যের এন্টিবডি কিট বিষয়ে জানতে চাইলে এই অনুজীব বিজ্ঞানী বলেন, আমাদের কিট বিষয়ে ফেডারেল ড্রাগ অথরিটির (এফডিএ) গাইডলাইন ফলো করতে হবে। এফডিএ’র গাইডলাইন খুব কঠিন কিছু নয়, সহজ বিষয়। আমরা এর থেকেও অনেক কঠিন কাজ করেছি। তবে সমস্যা হচ্ছে স্যাম্পল ক্যারেক্টারাইজ করতে হবে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা মেনে। এরপর সেটাকে আবার পুন:পরীক্ষা করতে হবে।
তবে এই টেকনিকটা আমাদের দেশে খুব বেশি সহজলভ্য নয় জানিয়ে বিজন কুমার শীল বলেন, এই কৌশলপদ্ধতি আমদানি করার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছি। এটা এখন আমরা আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালকে (বিএসএমইউ) দেবো। তারা নতুন করে কিট ইভ্যালুয়েশন করবেন। এন্টিজেনের যে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, সেটা আমাদের দেশে করা কোনোভাবেই করা সম্ভব নয়।