শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এখন গিনেস বুকে

চীন থেকে আমদানি করা সোনালি এবং বেগুনি রঙের ধানের চারায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি।

|| আলমগীর হোসেন, সংবাদ সারাবেলা ||

ধানের চারা রোপনের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের আবক্ষ অবয়ব ফুটিয়ে তুলেছেন বগুড়ার শেরপুরের ভবানীপুর বালেন্দা গ্রামের কৃষকরা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাদের এই ভালোবাসা আজ স্থান করে নিয়েছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পাতায়।

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই প্রতিকৃতি। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়ন করেছে ‘শস্য চিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’।

পরিষদের সদস্য সচিব ফয়জুল সিদ্দিকী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন আমরা শুরু থেকেই আস্থাশীল ছিলাম যে আমরা এটা পারবোই। গত ৯ই মার্চ আমরা পরিস্ফুটিত বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবির একটা ১ লাখ ২০ হাজার বর্গ মিটারের ডকুমেন্ট গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করি। তাদের সরেজমিন তদন্তে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩০ বর্গ মিটার হিসেবে সেটা শনাক্তকরণ হয়। সেটা বিশ্ব রেকর্ডের অন্তর্ভুক্তিতে বাধা না হওয়ায় তারা ১৬ই মার্চ তাদের ওয়েব সাইটে এটা অন্তর্ভুক্ত করে নেয়।

গত ২৯শে জানুয়ারি ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। ১৪ই মার্চ সেখানে পরিদর্শনে যান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

এদিকে বিষয়টি ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ জাতীয় পরিষদের আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম মঙ্গলবার গনমাধ্যমকে বলেন, “গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ আজ (মঙ্গলবার) বিকালে ই-মেইলের মাধ্যমে আমাদের সুখবরটা দিয়েছে।”

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, “জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার শুরু থেকেই আমাদের পরামর্শ দিয়ে সাহস যুগিয়েছিলেন বলেই আজকে এই স্বীকৃতি মিলেছে। এই আর্জন বাঙালি জাতির। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে এ অর্জন মাইলফলক হয়ে থাকবে।”

চীন থেকে আমদানি করা সোনালি এবং বেগুনি রঙের ধানের চারায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি। আয়োজকরা জানান, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর এ অবয়ব ফুটিয়ে তোলার পুরো কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা। এতে কাজ করেছেন বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী।

বর্তমানে গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার আগের রেকর্ডটি ছিল চীনের দখলে। ২০১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ দশমিক ১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল।

সংবাদ সারাদিন