লক্ষ্মীপুর বিটিসিএলে ১০ বছর ধরে সহকারী প্রকৌশলীর পদ শূন্য

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লি. (বিটিসিএল) লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে শূন্য থাকার কারণে গ্রাহককে সেবা দিতে পারছেনা এই প্রতিষ্ঠানটি ফলে কমছে সেবা বাড়ছে গ্রাহক হয়রানি।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লি. (বিটিসিএল) লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে শূন্য থাকার কারণে গ্রাহককে সেবা দিতে পারছেনা এই প্রতিষ্ঠানটি ফলে কমছে সেবা বাড়ছে গ্রাহক হয়রানি

বিটিসিএল লক্ষ্মীপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিগত ১০ বছর ধরে কার্যালয়ে সহকারী প্রকৌশলী পদ শূন্য। ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে কার্যক্রম।

নোয়াখালীর সহকারী প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান ভারপ্রাপ্ত গত ১০ বছর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বেশীর ভাগ সময় নোয়াখালীতে থাকেন।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে স্থায়ী ভাবে লাইনম্যান পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ২ টি জেনারেটরের মধ্যে একটি বিকল হয়ে পড়ে আছে।

মাস্টার রোলে আবদুল কাদের ও মো: ওহিদ নামে ২ জন লাইনম্যান থাকলেও পুরো এলাকায় তাদের সেবা সম্ভব হয়না। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোন নৈশ প্রহরী পদ না থাকার কারণে সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পদ অরক্ষিত থেকেই যাচ্ছে।

নিরাপত্তার জন্য প্রতিষ্ঠানে কোন বাউন্ডারী ওয়াল নেই। অভিযোগ উঠেছে সন্ধার নামার পর মাদক সেবী ও কিশোর গ্যাংদের আড্ডা খানায় তৈরি হয়েছে কার্যালয়ের আশ পাশ।

বিষয়টি একাধিকার কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করা হলেও কোন সাড়া মিলছেনা। ফলে হতাশ হয়ে পড়ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

বিটিসিএলের লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের লাইনম্যান আবদুল কাদের বলেন, অফিসে কোনো গ্রাহক তাদের অভিযোগ দেয়ার সাথে সাথে আমরা যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আমাদের লোক সংখ্যা কম। এরিয়া অনেক বড় থাকায় লাইনের ত্রুটি দূর করতে হিমশিম খেতে হয়।

সঠিক সময়ে লাইন ঠিক হয় না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো কারণে মেইন লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মেইন লাইন ঠিক না হওয়া পর্যন্ত সাব-লাইনে কাজ করা যায় না। এই সময় যদি কোনো গ্রাহক অভিযোগ করে তাহলে তখন আমরা প্রতিকার করতে পারি না।

এই ভাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস সময় পার হয়ে যায় গ্রাহকদের টেলিফোনের লাইন সংযোগ দিতে।

উপসহকারী প্রকৌশলী মো: জাফর আহমদ বলেন, গ্রাহক সেবার জন্য যতটুকু সম্ভব আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তবে কিছু সমস্যা আছে যে গুলো আমাদের পক্ষ থেকে সমাধান করা সম্ভব নয়।

সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মো: মনিরুজ্জামান বলেন, প্রতিষ্ঠানের লোকবল সংকট রয়েছে বিষয়টি লিখিত ভাবে কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে।

নতুন করে কেবল না বসানোর কারনে নতুন সংযোগ অনেক স্থানে দেওয়া সম্ভব হয়না। নতুন গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে যদি নতুন ক্যাবল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। নিরাপত্তা প্রহরী পদ এখনো পদায়ন করা হয়নি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু করা সম্ভব হয়।

এ ছাড়া অফিসের কারোর বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা ও হয়রানি অভিযোগে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

 

সংবাদ সারাদিন