|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষীপুর ||
লক্ষীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতি করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা মনির হোসেনকে খুন করেছে ডাকাতদল। এসময়ে মনিরের স্ত্রীকেও কুপিয়ে আহত করে ডাকাতরা। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধার মানিক গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে ডাকাতরা হানা দেয়। নিহত মনির হোসেন আঁধার মানিকের মো. বশিরের ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের আহ্বায়ক ও ইটভাটার মাঝির কাজ করতেন বলে স্থানীয়রা জানান।
বৃহস্পতিবার ১৭ই ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার ১৮ই ডিসেম্বর সকালে পুলিশ সুপার ড. এইচ এম কামরুজ্জামান ও সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহত মনির হোসেনের মেয়ে আঁখি ও স্বজনরা জানায়, ইটভাটায় মাটি সরবরাহের কাজের দুই লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ঘরেই রাখেন মনির। ওই দিন রাতে ঘুমাচ্ছিলেন তার পরিবারের সবাই। হঠাৎ একদল মুখোশ পড়া ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই মনির ও তার স্ত্রী মনিরা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে পাশের ঘরে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে ঘরে থাকা গচ্ছিত নগদ ২ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতরা।
স্থানীয়রা জানান, রাতে চিৎকার ও কান্নাকাটির আওয়াজ শুনে মনিরের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় মনির ও তার স্ত্রী মনিরা বেগমকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন তারা। আরেক ঘরে পরিবারের অন্য সদস্যদের বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পান তারা।
মুমূর্ষ অবস্থায় আহত দু’জনকে প্রথমে লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের অবস্থার গুরুতর হওয়ায় ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান মনির। পরে স্ত্রী মনিরাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
লক্ষীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান মিয়া ডাকাতি ও হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় নিহতের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তবে ঘটনাটি ডাকাতি না প্রতিহিংসার শিকার এখনি বলা যাচ্ছে না। মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।