রাষ্ট্রের দেয়া জমিসহ ঘর পেলেন লালমনিরহাটের আড়াইশ’ ভূমিহীন

উপকার ভোগীরা জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা রাষ্ট্রের এমন কল্যাণমূখি উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এবং এজন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লালমনিরহাট ||

রাষ্ট্রের দেয়া জমিসহ ঘর পেলেন লালমনিরহাটের আড়াইশ’ ভূমিহীন পরিবার। রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে জমিসহ ঘর প্রদানের শুভ উদ্বোধনের পর লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার আড়াইশ’ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাদের ঘর, জমি ও দলিলসহ যাবতীয় কাগজ বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।   

রোববার ২০শে জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুধিজনদের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) টিএম মোমিন উপকার ভোগীদের মাঝে তাদের ঘরের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেন।  

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাষ্ট্রের এই কল্যাণমূখি কর্মকান্ড বাস্তবায়নে রাজনৈতিক মহল, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ. মান্নানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদের সঞ্চালনায়  জমিসহ ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন লালমনিরহাট-২  (কালীগঞ্জ ও আদিতমারী) আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।  

এসময় মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সর্বপ্রথম ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। ৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে তিনি শাহাদত বরন করায় সে উদ্যোগ থেমে যায়। জাতির পিতার জন্ম শতবর্ষে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অসম্ভবকে সম্ভব করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা গড়তে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর দ্বিতীয়  পর্যায়ে সারাদেশে ভূমিহীন ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে জমিসহ ঘর দিচ্ছেন যা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনির আওতায় বয়স্ক, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, প্রতিবন্ধি, মাতৃত্বকালীন ভাতা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য এককালীন অনুদান দেয়া হচ্ছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মজিবর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসিন টুলু, কমিউনিটি পুলিশিং কালীগঞ্জ থানার সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মিজানুর রহমান, চলবলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, উপজেলা শাখা যুবলীগের সভাপতি রেফাজ রাঙ্গা, প্রভাষক মনিরুল ইসলাম কাঞ্চন, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তিতাস আলমসহ স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, উপকারভোগীরা। 

এ সময় উপকার ভোগীরা জমিসহ পাকা ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা রাষ্ট্রের এমন কল্যাণমূখি উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এবং এজন্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন।    

সংবাদ সারাদিন