রামপালে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

মসজিদ কমিটি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন খাত থেকে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হয় মসজিদের ।এই টাকাও ২০১৩ সাল থেকে এনামুল হক মুন্সী নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য তার কাছে একাধিকবার টাকার হিসাব চাইলে তিনি ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রামপাল(বাগেরহাট)||

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বর্নী গ্রামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মসজিদের সম্পদ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে৷ অভিযুক্ত বর্নী সায়েরাবাদ কেন্দ্রিয় জামে মসজিদ কমিটির সাবেক সাধারন সম্পাদক ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য । 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এনামুল হক মুন্সী ২০১৩ সাল থেকে মসজিদ কমিটির সাধারন সম্পাদক । এ সময়ে মসজিদের প্রায় ৪ বিঘা জমি রামপাল তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য নেয়া  হয় এবং মসজিদ কমিটিকে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়৷ এনামুল হক মুন্সী মসজিদ কমিটির তৎকালীন সভাপতি রাসেল জাহাঙ্গীর পলাশকে নিয়ে জমির ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন করেন৷ এরপর দীর্ঘ সময় পেরোলেও তিনি টাকা ফেরত দেননি এবং মসজিদ সংস্কারেও ব্যয় করেননি।

অভিযোগ রয়েছে, জমির টাকা উত্তোলনের পর বাকবিতন্ডার সূত্র ধরে মসজিদ কমিটির  সভাপতি পদত্যাগ করেন৷ এরপর থেকে ইউপি মেম্বার এনামুল মুন্সী ক্ষমতার দাপটে নিজেই কমিটির সর্বেসর্বা বনে যান।

এদিকে মসজিদ কমিটি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন খাত থেকে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় হয় মসজিদের ।এই টাকাও ২০১৩ সাল থেকে এনামুল হক মুন্সী নিজের পকেটে ঢুকিয়েছেন বলে তারা অভিযোগ করেন। মসজিদ কমিটির কয়েকজন সদস্য তার কাছে একাধিকবার টাকার হিসাব চাইলে তিনি ভয়ভীতি দেখান বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, দুই মাস আগে মসজিদ কমিটি এনামূলের কাছে টাকার হিসাব চেয়ে চিঠি  পাঠালেও তিনি তা গ্রহন না করে পত্রবাহককে গালিগালাজ ও হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন৷

অভিযোগের বিষয়ে এনামুল হক মুন্সীর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি৷ 

এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, তদন্ত করে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো৷

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন