|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য আউট অব স্কুল চিলন্ড্রেন কর্মসূচির চালু হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় ৭০ টি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু করা হবে। এতে উপজেলায় প্রায় ঝরে পড়া ২১০০ শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বই, খাতা, কলম, ড্রেস, ব্যাগ ও মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। এতে দরিদ্র, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থাগ্রস্থ ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আসবে।
উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে জরীপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
মঙ্গলবার ১৬ই ফেব্রুয়ারী সকালে রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ঝরে পড়া স্কুল শিশুদের (আউট অব স্কুল চিলড্রেন) শিক্ষা বাস্তবায়ন কর্মসূচি বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বেসরকারী এনজিও পিপলস ডেভেলপমেন্ট ইনষ্টিটিউট (পিডিআই) এর সহযোগীতায় রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মনির হোসেন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, রামগঞ্জ পৌর মেয়র আবুল খায়ের পাটোয়ারী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আকম রুহুল আমিন, জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন, সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবদুল মোহাইমেন, উপজেলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোনাজার রশিদ,এনজিও পিপলস ডেভেলপমেন্ট ইনষ্টিটিউট (পিডিআই), নির্বাহী পরিচালক হারুনুর রশিদ,এনজিও ডরপের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার আবদুল মালেক, ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো: অহিদুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক বিদ্যুৎ রায় বর্মন বলেন, চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় রামগঞ্জ উপজেলার ঝরে পড়া ৮-১৪ বছরের শিশুর জন্য ৭০ টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ৪২ মাস এই শিক্ষা কার্যক্রম চলবে।
তিনি আরো বলেন, অভিভাবকদের দারিদ্রতা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, শিশুশ্রম ও ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতাসহ বিভিন্ন কারণে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। আবার অনেকে বিভিন্ন কারনে স্কুল থেকে ঝরে পড়ে।
এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঝড়ে পড়া শিশুদের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে তাদেরকে শিক্ষার মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে সহায়তা করবে। এতে সরকারের রূপকল্প-২০২১ ও জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।