|| সারাবেলা প্রতিবেদক ||
রাজধানীর আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার্সের এক বাসার টয়লেটে মিলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর লাশ। মৃতের নাম ইশরাত জাহান তুষ্টি। বয়স ২১ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তুষ্টি। তার বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার নীলকণ্ঠপুরে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল বন্ধ থাকায় আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার্সের ১৮ নম্বর ভবনের নিচতলায় এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকছিলেন তুষ্টি। সহপাঠী রাহনুমা তাবাসসুম রাহী বলেন, “ওর অ্যাটাচমেন্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে। কিন্তু হল বন্ধ থাকায় এক বান্ধবীর সঙ্গে আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার্সের ওই বাসায় থাকছিল।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা তার মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছি। মেডিকেল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও অনুসন্ধান করতে অনুরোধ করা হয়েছে।”
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা এরশাদ হোসাইন জানান, একটি ভবনের টয়লেটে একজন আটকে থাকার খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারকর্মীরা রোববার সকালে আজিমপুর স্টাফ কোয়ার্টার্সে যায়। ভবনের নিচতলার বাসায় টয়লেটের দরজা ভেঙে তুষ্টিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তুষ্টির শরীরে জখমের কোনো চিহ্ন ছিল না জানিয়ে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, “অসুস্থতাজনিত কোনো কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন বলেন, “নিচতলার ওই কক্ষে তুষ্টি তার এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন। রাতে তারা এক সঙ্গেই ঘুমিয়েছিলেন। সকালে তুষ্টি বাথরুমে ঢোকার পর অনেকক্ষণ কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তার বান্ধবী ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। তুষ্টির মৃত্যুর বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।”