|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||
রংপুরে পশুরহাটগুলোতে স্বাস্থ্য বিধিকে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে কেনা-বেচা নেই কোন মাক্স গাধাগাধি করে চলছে মানুষ। অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন ইজারাদারেরা। নেই প্রশাসন কোন নজদারী অভিযোগ দিলেও ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না।
সরজমিনে দেখা যায়, পীরগাছা উপজেলার চৌধুরানী হাটের ক্রেতা বিক্রেতার উপচে পড়া ভিড় নেই কোন মাক্স এই হাটে স্বাস্থ্য বলতে কিছুই নেই। তোয়াক্কা করছেনা স্বাস্থ্যবিধি রয়েছে অতিরিক্ত টোল আদায় অভিযোগ,একই অবস্থা সাতদরগা হাটের,মিঠাপুকুর উপজেলার,জায়গীর হাট,শুকুরে হাট, বালারহাটে গিয়ে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ কেনা-বেচা করছে পশু। কারো মুখে মাস্ক নেই। স্বাস্থ্য বিধিকে তোয়াক্কা করছেনা কেউ। এছাড়াও, রয়েছে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ। চাঁদা নেওয়া হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছ হতে। এদের মধ্যে শঠিবাড়ী, শুকুরেরহাট, বৈরাতিহাট, জায়গীরহাট, বড়বালা, ছড়ান হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। সরকারী নিয়মানুযায়ী, গরু প্রতি ৫শ’ ও ছাগলে দেড়শ টাকা টোল আদায় করতে নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, ইজারাদারেরা নিয়মনীতি না মেনে তাদের ইচ্ছেমত অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন।
চৌধুরানী হাটে গরু বিক্রি করতে আসা আশিকুর রহমান বলেন, গরু ক্রেতার কাছে ৭’শ ও বিক্রেতার কাছে ৩’শ টোল আাদায় করা হচ্ছে। জোর পূর্বক ভাবে আমাদের কাছ হতে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে ইজারাদার।
হাটে ছাগল ক্রয় করতে আসা আঃ রহিম বলেন, একটি ছাগল কিনেছি। আমার কাছে নিয়েছে ২’শ ও বিক্রেতার কাছে নিয়েছে দেড়শ টাকা একই অবস্থা রংপুর জেলার প্রটি হাটের। রংপুর জেলায় ছোট বড় মিলে ৩৬ টি হাট রয়েছে। কোন কোন হাটে দেখানে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে মাক্স পরার জন্য। কিন্তু কে বা মানছে তাদের কথা আবার কোন কোন হাটে রয়েছে পুলিশের টহল তারপর স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই পশুর হাটে এতে করোনার বীজবপণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইজারাদারের নিযুক্ত টোল আদায়কারী বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। ইজারাদার যেভাবে বলেছেন, সেভাবে টোল আদায় করছি। জায়গীর হাটও বালারহাট ইজারাদার প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খোকা বলেন, সব জায়গায় অনিয়ম। অনিয়মেই নিয়মে পরিনত হয়েছে। রংপুর জেলার সকল হাটে অতিরিক্ত টোল করা হয়।
এব্যাপারে রংপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সিরাজুল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই প্রতিটি উপজেলা নির্বাহি অফিসারেরা তদারকি করবেন,এছাড়াও জেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক সবার উপরে দেখবেন।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও রিসিভ করেননি।