রংপুরে চড়া দাম গোখাদ্যের ২৫শ' টাকার খড় ২৫ হাজার

রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে পশুখাদ্যের দাম। রংপুরের বাজারে অন্যতম গোখাদ্য খড়ের দাম বেজায় চড়া। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি একশ গোছা বা আটি খড় ২৫শ' টাকায় বিক্রি হতো সেই খড় এখন ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে খামারিদেরকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||

একেতো দেশজুড়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণে দিশেহারা মানুষ। তারওপর গেলো কয়েকমাসে কয়েক দফা বন্যা। নিত্যপণ্যের চড়া দামে বেসামাল মানুষ। এরইমধ্যে রংপুরসহ গোটা উত্তরাঞ্চলে হু হু করে বাড়ছে পশুখাদ্যের দাম। রংপুরের বাজারে অন্যতম গোখাদ্য খড়ের দাম বেজায় চড়া। স্বাভাবিক সময়ে প্রতি একশ গোছা বা আটি খড় ২৫শ’ টাকায় বিক্রি হতো সেই খড় এখন ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে খামারিদেরকে।

এ্রই পরিস্থিতিতে বাজার দর কম হওয়া প্রান্তিক খামারিরা না পারছে গরুর বিক্রি করতে। না পারছে চড়াদামে খড় কিনে খাবারের প্রয়োজনীয় যোগান নিশ্চিত করতে।

ঠিকমতো খাবার না দিতে পারায় প্রভাব পড়েছে দুধ ও মাংস উৎপাদনে। করোনার কারনে এমেতেই গেলো কয়েকমাস ধরে দুধ ও মাংস দুটোরই বাজার দর বেশ কম। তারওপর গোখাদ্যের এমন অস্বাভাবিক দামে বেসামাল হয়ে পড়েছে বিশেষ করে প্রান্তিক খামারিরা।

এ প্রসঙ্গে কথা প্রান্তিক খামারি মো. ফেরদৌস আলী বললেন, বন্যা, বৃষ্টি আর মধ্যস্বত্বভোগিদের বেশী মুনাফা করবার প্রয়াসের শিকার তারা। সর্বোপরি ধান মাড়াইয়ের যন্ত্রের ব্যবহার খড়ের বাজারকে করে তুলেছে অস্থির। তিনি আরো জানান, খড়ের এমন দাম নিয়ন্ত্রণে আনা না গেলে গরু, মহিষ বাঁচিয়ে রাখাই দায় হয়ে পড়বে তার মতো প্রান্তিক খামারির জন্য। শুধু তাই নয় দেশীয় মাংস ও দুধের চাহিদা এবং যোগানের মধ্যে তৈরি হবে বিস্তর ফারাক। যার প্রভাব পড়বে পুষ্টির চাহিদা মেটানোর প্রক্রিয়াতে। বাড়বে গ্রামীণ বেকারত্ব।

অনেকটা ক্ষুব্ধ কন্ঠেই এই খামারি বললেন, সরকারের কাছে বলে লাভ কি। কোনটা স্বাভাবিক রাখতে পারোছ সরকার। পেঁয়াজ, আলু থেকে শুরু করে বাজারে মানুষের জন্য দরকারি সবপণ্যের দামই এখন ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। কিছুই যেনো করার নেই সরকারের। এবার এগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে গোখাদ্যের দামের অস্থিরতা।

পরিস্থিতি মোকাবেলায় গোখাদ্যের এমন অস্বাভাবিক দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান প্রান্তিক এই খামারি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন