|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা ||
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন হওয়ার আগে ও পরে নগরবাসীকে যেসব দূর্ভোগ সইতে হচ্ছে তার অন্যতম একটি হচ্ছে যানজট। অপরিকতিল্প নগরায়ন, যত্রতত্র পার্কিং, সড়কে অবৈধ স্ট্যান্ড, সড়কের সংকীর্ণতা, অনুমোদনহীন তিন চাকার যানবাহনের রাজত্ব, ট্রাফিক বিভাগের দুর্বলতায় অসহনীয় এই যানজট যেনো অনেকটাই গা সওয়া হয়ে উঠেছে শহরবাসীর কাছে। নগরবাসীর কাছে অসহনীয় হলেও এর সমাধানে কার্যকর কোন উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
প্রাচীন নগরী কুমিল্লায় যানজট এখন অন্যতম প্রধান সমস্যা। কুমিল্লা নগর জুড়ে গড়ে উঠেছে যত্রতত্র সিএনজি চালিত অটোরিকশার স্ট্যান্ড। নথিবদ্ধ সাড়ে দশহাজার রিকশা থাকলেও ইজিবাইক ও সিএনজির সংখ্যা কত সঠিক তথ্যও নেই সিটি করপোরেশনে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করতে পারলে নগরবাসী যানজট থেকে স্বস্তি পাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা এখন রিকশার নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই জেলার বিপুল পরিমান মানুষের আগমনে নগরজুড়ে পরিবহনের চাপে বেসামাল পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিমভাব ট্রাফিক পুলিশের। রিকশা, ইজিবাইক আর সিএনজির দাপটে নগরীতে যানজটে দূর্ভোগ বাড়ছে প্রতিদিনই। বড় শপিং মল আর হাসপাতালের সামনে যানজটের অবস্থা আরও নাজেহাল। তাছাড়া ৩টি বাস স্ট্যান্ডকে ঘিরে দূর্ভোগের রুটিনে প্রতিদিনই নাকাল নগরবাসী।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা তুলনামূলকভাবে একটি বড় শহর, সে বড় শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য যে জনবল প্রয়োজন তার বড় অভাব আছে আর কেবল মাত্র ট্রাফিক পুলিশের উপর ভরসা করে শতভাগ সেবা দেওয়া সম্ভব না। তাছাড়া শহরের মধ্যে বড় কয়েকটি বাস স্ট্যান্ড শপিং মল ও হাসপাতাল থাকার কারনে প্রচুর লোক সমাগম হয়। সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে, নগর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিলে যানজট থেকে রক্ষা পাবে নগরবাসী।
সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, সিটি কর্পোরেশনের একার পক্ষে যানজট নিরসন করা সম্ভব নয়। যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন।
যানজট নিরসনে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ- এমনটাই দাবী নগরবাসীর।