টাঙ্গাইলে যমুনা-ধলেশ্বরীর পানিতে তলিয়ে গেছে ফসল, আশঙ্কা ভাঙনের

পানি বাড়ার পাশাপাশি যমুনার পূর্ব পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল ||

টাঙ্গাইলে যমুনা ও ধলেশ্বরী নদীর পানি আবারও বাড়ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায়  জেলায় ধলেশ্বরী নদীর পানি ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং যমুনার পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি  বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চল। নতুন করে বন্যায় বিলীন হলো কৃষকের স্বপ্ন। হাজার হাজার একর জমির রোপা আমন, বীজতলা ও সবজি বাগান পানির নিচে চলে তলিয়ে গেছে।

নদীগুলোর প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। গেলবারের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে চড়া দামে চারা কিনে কৃষকরা যে রোপা আমন  লাগিয়েছিলেন, তা এখন পানির নিচে।

ধানের ক্ষেত ও সবজি বাগান তলিয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার কৃষকের স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রূপ নিয়েছে। নতুন করে বন্যা দেখা দেয়ায় যমুনা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু, বৃদ্ধ ও গবাদি পশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে l

বিগত বন্যায় টাঙ্গাইল জেলার ১১টি উপজেলার  প্রায় পাঁচশো গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। এখনও অনেক এলাকায় বন্যার পানি নামেনি । তার মধ্যে আবারও পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। এ যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।

এদিকে পানি বাড়ার পাশাপাশি যমুনার পূর্ব পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। নেয়া হচ্ছে না ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা। প্রতিবছর টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড লোক দেখানো কিছু জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনো কাজে আসছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আরও দুএক দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।  আর যে সমস্ত এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন l

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন