|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) ||
মীরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভায় বাসাবাড়ির ময়লা দিয়ে পুকুর ভরাটের অভিযোগ উঠেছে খোদ মেয়রের বিরুদ্ধে। পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশের ‘খাল পাড়ের পুকুর’টি স্থানীয়দের বাসাবাড়ি থেকে সংগৃহিত ময়লা ফেলে ভরাট করে ফেলছেন।
জানতে চাইলে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন বলেন, এটা সড়ক ও জনপদ বিভাগের পুকুর, পৌরসভার ময়লা-আর্বজনা ফেলার কোন জায়গা না থাকায় পরিচ্ছন্নকর্মীরা তাদের সুবিধার্থে পুকুরেই ময়লা আর্বজনা ফেলছে।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। সরেজমিনে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।
এই বিষয়ে সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, জলাশয় ভরাটের এখতিয়ার কারো নেই। এই ব্যাপারে অভিযোগ পেলে সওজ বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আশির দশকে বারইয়ারহাট-মহিপাল সংযোগ সড়ক চালু করার সময় মহাসড়ক তৈরিতে সড়কের পশ্চিম পার্শ্বে প্রায় ৪ একর এলাকাজুড়ে ‘খাল পাড়ের দিঘী’ কাটা হয়। যা বারইয়ারহাট পৌরসভার সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিলো। বিভিন্ন দুর্যোগ দুঃসময়ে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো। এরআগে বারইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজের কাছে পুকুরটি মাছ চাষের জন্য ইজারা দেওয়া হতো। কিন্তু গত ১৪২৭ বাংলা সন থেকে বারইয়ারহাট পৌর মেয়র মাছ চাষের জন্য মৌখিকভাবে ইজারা নেন পুকুরটি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি মাছ চাষ না করে পুকুরটি ময়লার ভাগাড় বানিয়ে ভরাট করে ফেলছেন। ফলে পুকুরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি বারইয়ারহাট বাজারে রাতের বেলা চয়েস বাসস্ট্যান্ড মার্কেটের পাশে আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এই পুকুরের পানি ব্যবহার করতে পারেনি।
এ প্রসঙ্গে বাইয়ারহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন জানান, মীরসরাই সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মৌখিক অনুমতিতে পুকুরটি কলেজ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। যা ভুমি মন্ত্রনালয়, রোর্ডস এন্ড হাইওয়ে লিখিতভাবে লিজ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে। তিনি আরো বলেন, কলেজ গর্ভনিং বোর্ডের সাবেক সভাপতি মিজান চেয়ারম্যান এরআগে একলাখ টাকায় পুকুর ইজারা দিয়ে উক্ত টাকা কলেজ ফান্ডে জমা দিয়েছেন।