|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ||
সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করে ছেলে। পরে সহযোগিদের নিয়ে মায়ের লাশ বস্তায় পুরে পুকুরে ফেলে দেয় ছেলে। এরপর মা অপহৃত হয়েছে বলে থানায় জিডি করে সেই ছেলে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহতে।
এদিকে ঘটনার ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বুধবার ২৪শে ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। এ ঘটনায় ঘাতক ছেলে মুন্না বাবুসহ (৩২) ঘটনায় জড়িত অপর ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রেস বিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফরহাদ হোসেন, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম, পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, মমতাজ বেগমের এক ছেলে ও ৩ মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্না বাবুর সঙ্গে থাকতেন। মা যাতে মেয়েদেরকে সম্পত্তির ভাগ দিতে না পারে সেজন্য বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে নিয়ে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছেলে মুন্না বাবু। পরিকল্পনা মতো গত ২০শে জানুয়ারি মমতাজকে খুন করে লাশ বস্তায় পুরে পুকুরে ফেলে দেয়।
পরে ২১শে জানুয়ারি ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় তার মাকে কে বা কারা অপহরণ করেছে এই মর্মে জিডি করেন। কেবল তাই নয় এরপর মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার (মুন্না) দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন।
জিডি ও ফোন কলের সূত্র ধরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে ঘটনার ৩৪ দিন পর মঙ্গলবার ২৩শে ফেব্রুয়ারি লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় ছেলে মুন্না, তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদেরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।