।। সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ।।
ভোলায় সর্বপ্রথম করোনা ভ্যাকসিন নিলেন অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার। রোববার বেলা ১১টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালে ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদারকে ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডা. মো. রেজাউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।করোনা টিকা নেয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্রনাথ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদেক্ষেপের কারনে আজ আমি করোনা ভ্যাকসিন নিতে সক্ষম হয়েছি। আমার মধ্যে এতোদিন শংকা ছিলো যে কখন আমাকে করোনা আক্রান্ত করে। আজ ভ্যাকসিন নেয়ার মাধ্যমে তা দূর হয়ে গেছে। আমার মধ্যে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। আজ থেকে আমি শংকামুক্ত। আমি নিজেকে নিরাপদ মনে করছি। এখন থেকে যতদিন বেঁচে থাকবো কোনো প্রকার শংকা ছাড়াই জীবন যাপন করতে পারবো। ব্যাকসিন নিয়ে আমার কোনো প্রকার সমস্যা হয়নি।
দ্বিতীয় করোনা ব্যাকসিন গ্রহনকারী প্রফেসর ডা. খাদিজা বেগম জানান, এ ব্যাকসিনটি সবচেয়ে বেশী নিরাপদ। তাই আমি নিজে থেকেই এ ব্যাকসিন গ্রহন করেছি। আমার কোনো প্রকার সমস্যা হয়নি। আমি আজ থেকে নিজেকে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ মনে করছি।
ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মো. রেজাউল ইসলাম জানান, ভোলায় প্রথম ধাপে ৬০ হাজার করোনা ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। দুই ডোজ করে মোট ৩০ হাজার মানুষকে তা প্রদান করা যাবে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫ হাজার, চরফ্যাশন উপজেলায় ১২হাজার, তিনটি উপজেলায় নয় হাজার করে ও দুইটি উপজেলায় ছয় হাজার করে ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।
ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ভোলার সাত উপজেলায় ৮টি বুথ চালু করা হয়েছে। প্রতিটি বুথে দুই জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চার জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। প্রতিটি বুথে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ১০০ জন মানুষকে এ ভ্যাকসিন দেয়া হবে। প্রথম ডোজ দেয়ার চার সপ্তাহ পরে আবার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা হবে। যারা অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করবে শুধু তারাই এ ভ্যাকসিন পাবে। উদ্বোধনী দিনে ৭২৩ জন অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করেছে। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী করোনার সম্মুখ সারির যোদ্ধারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতপ এ ভ্যাকসিন পাবে