|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ||
ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. ফখরুল ইসলাম মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ২ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী ভেলুমিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। পরে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মাইনুল ইসলাম সকল ঘটনা শুনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য তাকে সদর থানায় পাঠায়।
কিশোরী ও তার পরিবার জানায়, গত তিন মাস ধরে ফখরুল ইসলাম মামুনের সাথে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এরই মধ্যে মামুন কিশোরীকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে জোর করে কয়েক বার ধর্ষণ করে।গত দুই তিন দিন আগে কিশোরী মামুনের এলাকায় তার খালার বাসায় বেড়াতে আসে। এই সুযোগে মামুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দেখা করার কথা বলে ওই বাসায় এসে কিশোরীকে ধর্ষণ করে।
বিষয়টি কিশোরীর খালা টের পেলে মামুন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে কিশোরীর খালা তাকে মামুনের সাথে দেখতে পেয়ে অনেক বকাঝকা করে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে।এ অবস্থায় বুধবার সকালে কিশোরী বিয়ের দাবীতে মামুনের বাসায় গেলে মামুনের বোন তাকে মারধর করে বের করে দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা মামুনের পক্ষ নিয়ে মিমাংশার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের স্বরনাপন্ন হয়।
কিশোরী বলেন, মামুন আমার সাথে প্রতারণা করে আমাকে ধর্ষণ করেছে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করবো আর এর জন্য দায়ী থাকবে মামুন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি ফখরুল ইসলাম মামুন জানান, আমি ওই মেয়ের খালু আলাউদ্দিনের কাছ থেকে হাস পালনের জন্য একটি ঘর ভাড়া নিয়েছি। সেই সুবাদে ওই মেয়ের সাথে তার পরিচয়। এরই মধ্যে মেয়ের খালার মোবাইল দিয়ে কয়েকবার মেয়ের সাথে কথা হয়েছে। গত রাতেও তার সাথে মোবাইলে কথা হয়েছে। এবং সে আমাকে তার খালার বাসায় যেতে বলেছে। আমি আমার ঘরে শুয়ে শুয়ে তাকে যাবো বলেছি কিন্তু যায়নি। সে এ কথাগুলো রেকর্ড করে আমাকে ব্লাক মেইল করতে চাচ্ছে। মূলত তার সাথে আমার কোনো শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।
এ ব্যাপারে বুধবার রাতে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন জানান, এঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলার আলোকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।