ভোট চাইতে ব্যস্ত জামালপুর পৌর নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা

নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ও চা ষ্টলে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা। জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম ব্যবহার হওয়ায় ভোটাররাও দেখতে চাইছেন বিষয়টা কতটা তাদের হবে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জামালপুর ||

পঞ্চম ধাপে আগামি ২৮শে ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে জামালপুর পৌরসভা নির্বাচন। ভোটারদের খুব একটা আগ্রহ না থাকলেও ভোট চাইতে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ঘুম হারাম অবস্থা। ভোটের দিন যতই কাছে আসছে ততই বাড়ছে প্রার্থী ও সমর্থকদের ব্যস্ততা। রাতদিন চলছে নির্বাচনী প্রচার ও কর্মীসভা।

প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের গুনকীর্তন তুলে ধরছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা । নির্বাচনী এলাকায় প্রতিটি পাড়া মহল্লায় ও চা ষ্টলে জমে উঠেছে নির্বাচনী আলোচনা। জামালপুর পৌরসভা নির্বাচনে এবারই প্রথম ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএম ব্যবহার হওয়ায় ভোটাররাও দেখতে চাইছেন বিষয়টা কতটা তাদের হবে।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন, এছাড়া ১২টি ওয়ার্ডে ৩৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পৌর এলাকায় অলি-গলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই শেষ হচ্ছে প্রচার প্রচারণা। তাই শেষ মুহূর্তে ভোটারদের কাছে যাওয়াই যেনো একমাত্র কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রার্থীদের।

এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে জামালপুর পৌরবাসী পেতে যাচ্ছেন এক নতুন পৌরকর্তা। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের একজন, বিএনপির একজন এবং ইসলামী আন্দোলন একজন মনোনীত প্রার্থী অংশ নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু ব্যাপক গণসংযোগ করছেন। তিনি বলেন, “আমি যেটুকু করতে পারবো, সেটুকুই প্রতিশ্রুতি দেবো। আমি যা করতে পারবো না, সেরকম ওয়াদা দেবো না।” জামালপুর পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং যানজট নিরসনসহ মৌলিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আধুনিক পৌরসভা গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে নির্বাচিত করতে হলে এই একদিন আপনারা কষ্ট করবেন। নির্বাচিত হলে আমি কোন দলের নয়, সবার মেয়র হবো।   

অন্যদিকে সমানভাবে প্রতিটি ঘরে ঘরে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন। কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী আলোচনা সভা ও মতবিনিময় করছেন তিনি। চাইছেন ভোট।

এছাড়া হাতপাখা নিয়ে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি মোস্তফাও বসে নেই। কর্মী-সমর্থক নিয়ে প্রচারণায় নেমেছেন।

মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও তাদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে নানাভাবে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্ট করছেন।

জামালপুর পৌরসভার ৪২টি ভোট কেন্দ্রে ৩৪১টি কক্ষ রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেবে কমিশন।

সংবাদ সারাদিন