|| মো. রাসেল ইসলাম,বেনাপোল থেকে ||
বেনাপোল সীমান্তের বিস্তৃত অঞ্চল। সম্প্রতি ভারতে জ্বালানি তেলের দাম আরও একদফা বৃদ্ধির ফলে ভারত লাগোয়া সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে তেল পাচার নিয়ে উদ্বিগ্নে রয়েছেন সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সংস্থা। আগাম সর্তকতা হিসাবে ইতোমধ্যে তেল পাচারের সম্ভাব্য রুটগুলো কার্যত সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
ভারতে তেলের দাম দফায় দফায় বৃদ্ধির ফলে দু’দেশের জ্বালানি তেলের বাজারের মধ্যে অসংগতি বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের সাথে ভারতের পশ্চিম বাংলার বাজারে এক লিটার জ্বালানি তেল পেট্রোলের পাথর্ক্য মুল্য ৩২.৯৪ টাকা আর ডিজেলের পার্থক্য প্রতি লিটারে ৪৪.৩৭ টাকা। শেষ দফা মুল্য বৃদ্ধির পর ভারতে জ্বালানি তেলের বর্তমান মুল্য ১০০% পরিশোধিত অকটেনের দাম ১৬০ রুপি, পেট্রোল প্রতিলিটার ১০১.১০ রুপি, আর ডিজেলের মুল্য প্রতিলিটার ৯২.৯৭ ভারতীয় রুপি। জ্বালানি তেলের দাম ভারতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ থেকে জ্বালানি তেল ভারতে পাচার হতে পারে এমন ভাবনায় সীমান্তজুড়ে সর্তক অবস্থানে রয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
করোনাকালিন সময়ে সীমান্তপথে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বেনাপোল সীমান্তের ১৮ কিলোমিটার জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছে নতুন নতুন চেকপোষ্ট। পুটখালি সীমান্তের ৩ কিলোমিটার এলাকা হাই প্রটেক্টিভ সিসি ক্যামেরা দ্বারা সুরক্ষিত। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরায় চোরাচালান রোধে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানালেন পুটখালি বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ সুবেদার মোরশেদ আলি।
এদিকে বেনাপোল বন্দরের উপ পরিচালক মামুন তরফদার বলেন, বেনাপোল শুল্ক কতৃর্পক্ষের সাথে আলোচনা করে ভারতীয় পাথর বোঝাই সকল ট্রাক বন্দর এলাকায় অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্দরের নিরাপত্তা কর্মিদের সর্তক করা হয়েছে ভারতীয় ট্রাক যেন বন্দর এলাকা ত্যাগ করতে না পারে। বন্দরের নিজস্ব পরিবহন ছাড়া কোন রিক্সাভ্যান কিংবা গাড়িতে যেন তেলের ড্রাম বা ব্যারেল নিয়ে বন্দর এলাকায় প্রবেশ না করে।
ভারতীয় পণ্যবাহি কোন ট্রাক যাতে বাংলাদেশের তেল পাম্প থেকে তেল নিতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন থেকেও কড়া হুশিয়ারী দেয়া হয়েছে সকল তেল পাম্প গুলোতে। এদিকে বেনাপোল বাইপাশ সড়কের মুখে অবস্থিত শাহাজালাল তেল পাম্পের ম্যানেজার বলেন, তেল পাম্প এলাকায় ভারতীয় ট্রাক প্রবেশ সম্পুর্ন রুপে বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় ট্রাকের কাছে তেল বিক্রিতেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। ভারতে তেলের দাম বাড়ায় পাম্পগুলোতে তেল বেচাকেনায় কোন প্রভাব পড়েনি। আগের মতই স্বাভাবিক রয়েছে গেলের বেচাকেনা।