|| সারাবেলা প্রতিনিধি, আনোয়ারা(চট্টগ্রাম) ||
নূর মুহাম্মদ, ইয়ার মুহাম্মদ, মৃত আবু তাহের,আব্দুর রহিম। সম্পর্কে তারা সহোদর। পারিবারিকভাবে আলাদা হয়ে গেছেন প্রায় ২০ বছর। তবে ভাগ হয়নি পারিবারিক ভিটা-বাড়িসহ জায়গা জমি। আর এই বিরোধের জেরে বড় ভাইয়ের রোষনালে পড়ে গেলো দুই মাস ধরে ঘরবাড়ি ছাড়া আপন ছোট ভাইরা।
বড় ভাইয়ের টাকা পয়সার কাছে হার মেনে অসহায় হয়ে পড়েছে মৃত ছোট ভাইয়ের বিধবা বউও। ঘর নেই দুই মাস তার বড়ভাইয়ের মামলা -হামলার ভয়ে মানুষের ঘরে ঘরে ঘুরছে তিন পরিবার। এমনি দুঃখ দুঃসহ দিন কাটছে আনোয়ারা উপজেলার ৩ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ফকির মোহাম্মদ বাড়ির তিনটি পরিবারের।
জানা যায়, গত দুই মাস আগে নিজের জায়গা উদ্ধার করবে বলে পুরাতন বসত ঘর ভেঙে পেলে বড় ভাই নূর মুহাম্মদ। পরে পরিমাপের জন্য শালিসি বৈঠক ডাকলে নূর মুহাম্মদ সালিশি বৈঠক এড়িয়ে চলে। স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু মহলকে হাতে নিয়ে পুরাতন বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য করছে বাকী তিন ভাইকে।
বাকী তিন ভাইয়ের অভিযোগ, নূর মুহাম্মদ পুরো ভিটা-বাড়ি দখল করতে নানা কূট কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। বসত ঘর ভেঙে পেলায় গৃহহীন হয়ে পড়ছে তারা। তাদের উপর নানা নির্যাতন হয়রানি করছে নূর মুহাম্মদের পরিবার। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে একাধিক মামলা।
স্থানীয়দের সাথে কথা বল্লে তারা জানায়, নূর মুহাম্মদের টাকা পয়সা হলে সে অন্যত্র চলে যায়।বেশ কিছদিন ধরে ভাইদের সাথে নানাভাবে ঝামেলা করে যাচ্ছে। আমরা একাধিকবার শালিসি বৈঠক ডেকেছি কিন্তু এসবের কিছু সে তোয়াক্কা করেনা। উল্টো ছোট তিন ভাইয়ের পরিবারের উপর নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমরা তার সাথে মিমাংসার কথা বললে সে জানায় কোন সমস্যা নেই। সব ঠিক আছে। কিন্তু আবার পরক্ষণেই ভাইদের বিরুদ্ধে শুরু করে অত্যাচার নির্যাতন।
৩ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসহাক বলেন, নূর মোহাম্মদ কোন কিছুর তোয়াক্কা করেনা। আইন, সামাজিকতা সে কিছ বোঝে না। আমি একাধিকবার কথা বলেছি সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে আমিও বিব্রতকর অবস্থায় আছি। বিশেষ করে বিধবা মহিলাটি গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। আমি মনে করি চেয়ারম্যান মহোদয়কে জানানো ছাড়া আমার আর করার কিছুই নেই।