বিরোধ মেটাতে গিয়ে লাঠির আঘাতে মারা গেলেন এক শিক্ষক

গত শুক্রবার ২৯শে জানুয়ারি) সকালে মাহেন্দ্রা বাজারে জমিজমার বিরোধ মেটাতে উভয়পক্ষ নিয়ে মিমাংসায় বসেন। একপর্যায়ে এক পক্ষের কাজুল, মাজেদুল, সুলতান ও জুবায়ের লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রাজশাহী ||

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় মারপিটে আহত এক স্কুলশিক্ষক  রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোববার ভোররাতে মারা গেছেন। শিক্ষক সোহেল রানা (৩৫) উপজেলার মাহেন্দ্রা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবাহান আলীর ছেলে। পুঠিয়ার দোমাদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি।

গত শুক্রবার ২৯শে জানুয়ারি) সকালে মাহেন্দ্রা বাজারে জমিজমার বিরোধ মেটাতে উভয়পক্ষ নিয়ে মিমাংসায় বসেন। একপর্যায়ে এক পক্ষের কাজুল, মাজেদুল, সুলতান ও জুবায়ের লাঠি দিয়ে সোহেল রানার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যান।

বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দিকে সোহেল রানার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় আটজনের নাম উল্লেখসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। মামলার দিনই মাজেদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সোহেলের মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

সংবাদ সারাদিন