বিটুমিন গলাতে পুড়ছে ভাঙ্গারি দ্রব্য স্বাস্থ্যঝুঁকিতে জয়পুরহাটের মানুষ

জয়পুরহাটে রাস্তা সংকারে বিটুমিন গলাতে জ্বালানি হিসেবে তুষ-কাঠের বদলে ভাঙ্গারি দ্রব্য পোড়ানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে  জেলার মানুষ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, জয়পুরহাট ||

জয়পুরহাটে রাস্তা সংকারে বিটুমিন গলাতে জ্বালানি হিসেবে তুষ-কাঠের বদলে ভাঙ্গারি দ্রব্য পোড়ানোয় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে  জেলার মানুষ। প্রভাবশালী ঠিকাদাররা কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই পোড়াচ্ছেন পুরাতন জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিকের মত এসব ভাঙ্গারি দ্রব্য। নষ্ট বিষাক্ত এসব বর্জ্য পোড়ানোয় সৃষ্ট কালো ধোঁয়ার গন্ধে বিষিয়ে উঠেছে এলাকার পরিবেশ ও জনজীবন। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে আশেপাশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

সরেজমিনে দেখা যায়, জয়পুরহাট শহরের তেঘর স্কুলসংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সংস্কারে বিটুমিন গলাতে কাঠ ও তুষের বদলে পুরনো জুতা, স্যান্ডেল, প্লাস্টিকের মত নানা রকমের ভাঙ্গাড়ি নষ্ট দ্রব্য পোড়ানো হচ্ছে। একই চিত্র কালাইয়ের মাত্রাই ছত্রগ্রামসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে। বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার গন্ধে পরিবেশ-গাছপালা ও জনজীবন বিষিয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য ঝুঁকি সহ নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা। দ্রুত এসব চুলা অন্যত্র ফাঁকা জায়গায় স্থানান্তরের দাবী জানিয়েছেন তারা। তবে কোন কিছুই তোয়াক্কা না করেই প্রভাবশালী ঠিকাদাররা ইচ্ছে মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সব কিছু দেখেও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না সংশ্লিষ্টরা।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

এলাকাবাসী রেখা বেগম, লাবলী আরা, কামরুজ্জামান বুলেটসহ অনেকেই বলেন, সরকার বলতিছে করোনা আসছে সাবধানে থাকো। সেই সরকারই আবার রাস্তার কাজে জুতা, স্যান্ডেল, টায়ার পোড়াচ্ছে। ধোয়ার দুর্গন্ধে আমরা অতিষ্ট। এতো গন্ধ যে আমরা বাড়িতে থাকতে পারছি না। ধোয়ায় পাশের জমির আবাদ, গাছ সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এর দায়ভার কে নেবে? দূষিত হচ্ছে পরিবেশের। স্কুল খোলা থাকলে আরও সমস্যা হতো। আমের গাছে কোন মুকুলই আসবে না।

তেঘর স্কুলসংলগ্ন এলাকায় রাস্তা সংস্কারে কাজ করা ঠিকাদার লুৎফর রহমান বলেন, এখন জুতা দিয়েই পোড়াতে হবে, এছাড়া বিকল্প কিছু নেই। পরিবশে দুষণ, স্বাস্থ্য ঝুঁকি হবেই, হলে করার কি আছে?

সদর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুর রউফ বলেন, পরিবেশ দূষণ করে কেউ কাজ করতে পারবে না। ঠিকাদার যা করছে তা গায়ের জোড়ে করছে। আমি কি পরিবেশ দূষিত করতে পারি? এটা প্রত্যেককে মানতে হবে এই কথা বলে কাজ বন্ধ করে দিতে বলেন।

ছবি: সংবাদ সারাবেলা

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, যেকোন কার্বন পার্টিকেল, বিশেষ করে জুতা, স্যান্ডেল, পলিথিন জাতীয় জিনিস যদি পোড়ানো হয়। তা থেকে যে ধোঁয়া বের হয় সেটাতে বিষাক্ত পদার্থ থাকে এবং এটা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এই বাতাস দীর্ঘদিন কেউ যদি নেই তার শ্বাস কষ্টসহ ক্যান্সারও হতে পারে।

সংবাদ সারাদিন