|| অনলাইন প্রতিনিধি, ভোলা ||
করোনা আক্রান্ত নুরে আলম সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। গেল ১১ দিন তিনি মনপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা নেন তিনি। নুরে আলমের বাড়ি মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। তিনি ঢাকায় ফুড পান্ডার সদরঘাট শাখায় চাকরি করতেন।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ ছাড়পত্র দিলে নুরে আলম বাড়ি ফেরেন। এই সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় জানান উপজেলা চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশীদ, চিকিৎসকসহ আরো অনেকে।
এসময়ে তার পরিবারের জন্য এক ব্যাগ ফল, ইফতার ও ঈদপণ্য দেওয়া হয়।
করোনা থেকে সুস্থ হওয়া নুরে আলম জানান, করোনা থেকে বাঁচতে পেরে আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। এই দুঃসময়ে সবচেয়ে বেশি সাহস যুগিয়েছেন ইউএনও স্যার। তিনি আইসোলেশন সেন্টারে এসে আমার সঙ্গে আড্ডা দিতেন ও রাতে মোবাইলে কথা বলতেন। আমার মোবাইলে ফ্লেক্সিলোডসহ খাওয়ার জন্য ফল পাঠাতেন। এছাড়া হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করায় আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তাদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিকেল টিমের প্রধান ডা. মাহমুদর রশীদ জানান, পরপর দুইবার করোনা আক্রান্ত যুবকের নমুনার পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসায় তাকে মেডিকেল ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপুল চন্দ্র দাস জানান, করোনা আক্রান্ত যুবক সুস্থ হওয়ায় সবার মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ১০টি বাড়ির ৪১টি ঘরের লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে।
নূরে আলম গত ২১শে এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়িতে ফেরেন। জানতে পেরে স্বাস্থ্য বিভাগ নুরে আলমসহ আরো তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠান। ২৩শে এপ্রিল রাতে ওই যুবকের করোনা পজেটিভ আসে। অন্য তিনজনের পরীক্ষার ফলাফল আসে নেগেটিভ। রাতেই ইউএনও, ওসি ও হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা নুরে আলমকে বাড়ি থেকে এনে মনপুরা সরকারি ডিগ্রী কলেজের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেন। এবং আক্রান্ত যুবকের পরিবারের ৬ সদস্যসহ আরো ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠালে সেগুলোর রির্পোটও নেগেটিভ আসে।
ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে পাঁচ জন। এদের মধ্যে বোরহানউদ্দিনে এক জন, মনপুরায় এক জন, ভোলা সদর উপজেলায় তিন জন। এদের মধ্যে এক জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকীরা বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
