|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ভোলা ||
নিসন্তান মো. বেলায়েত হোসেন জমাদ্দারের ঘর-বাড়ি দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে স্থানীয় দখলবাজরা। গেলো বেশ কিছুদিন ধরেই জমাদ্দারের পুকুরের মাছ ও বাগানের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তারা।
সবশেষ বাড়ি দখল করতে এসে বৃদ্ধ জমাদ্দারকে বেধড়ক পেটানো হয়। জমাদ্দারের অভিযোগ তার কোন সন্তান না থাকায় এলাকার দখলবাজরা তার সহায় সম্পত্তি দখলে উঠে পড়ে লেগেছে। এমনকি জায়গা না ছাড়লে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হচ্ছে।
আহত জমাদ্দার বলেন, আমার বাবা আলতাজ উদ্দিন জমাদ্দার মারা যাওয়ার পর কাচিয়া ইউনিয়নে আমাদের বসত বাড়ি নদীতে চলে যায়। পরে সেখান থেকে এসে আমি সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের উত্তর চরপোটকায় পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া এক একর ৬০ শতাংশ জমিতে ঘর-বাড়ি করে বসবাস করে আসছি। বাবা মারা যাওয়ায় এ জমি আমরা তিন ভাই চার বোন ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হই।
এরমধ্যে আমার বড় ভাই দেলওয়ার হোসেনে মারা যাওয়ার পর তার অংশ তার ছেলে ও স্ত্রী স্থানীয় খলিল জমাদ্দার ও কবির জমাদ্দারের কাছে বিক্রি করেন। পরে তারা জোর করে আমার অংশের পুকুর ও বাড়ির দরজাসহ খলিল ও কবিরকে বুঝিয়ে দেয়। বিষয়টি আমি প্রতিবাদ করলেও তারা তা শোনেনি।
বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় গন্যমান্যরা একাধিকবার মিমাংসা জন্য বসলেও তারা তাদের উপেক্ষা করে পুরো বাড়ি দখলের পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। এমনকি তারা ইউপি চেয়ারম্যানের কথাতেও গা করে না।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে কবির জমাদ্দার ও তার ভাই ফারুক জমাদ্দারসহ ১০-১২ জন মিলে আমার পুকুরের মাছ ও বাগানের গাছ লুট করতে এলে আমি তাদের বাধা দেই। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে বাগানের সুপারি গাছের সাথে মাথা বাড়ি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনায় ভোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি ।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।