বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী

বিয়ের সব অনুষ্ঠান প্রস্ততি করে রেখেছে কনের স্বজনরা। রান্না কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে ওই দিকে বর ও তার লোকজন প্রস্ততি নিচ্ছে কনের বাড়ির আসার।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর ||

বিয়ের সব অনুষ্ঠান প্রস্ততি করে রেখেছে কনের স্বজনরা। রান্না কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে ওই দিকে বর ও তার লোকজন প্রস্ততি নিচ্ছে কনের বাড়ির আসার। এমন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে খবর আসে ১৩ বছরের কিশোরীকে বিয়ে দিচ্ছে তার স্বজনরা।

খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, ইউপি চেয়ারম্যান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ দ্রুত কনের বাড়ি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। এ ছাড়া জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার জন্য পৃথক নির্দেশনা প্রদান করে। পরে দুপুরে ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে করে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয় বন্ধ থাকার সুযোগে গ্রামে কিশোরী মেয়েকে বাল্য বিবাহ দিয়ে আসছে কিছু অভিভাবক।

সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের মিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ও একই এলাকার মো. মাসুমের মেয়ে মাসুদা আক্তার মীমের বিয়ে আয়োজন চলছে রোববার দুপুরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এমন সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম, হাজিরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন বাবুল, চন্দ্রগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে নির্দেশ দেয়।

পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কর্মকর্তারা গিয়ে মীমের বাল্য বিবাহ বন্ধ করে তার অভিভাবকদের কাছ থেকে অঙ্গিকার নামা নিয়ে আসে। ফলে মেয়েটি বাল্য বিবাহের কবল থেকে রক্ষা পায়।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বাল্য বিবাহ বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

 

সংবাদ সারাদিন