বালিকা বিয়ে করে উলিপুরের সেই ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

বালিকা বিয়ে করার বিষয়টি রাষ্ট্রিক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত হলেন জেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুড়িগ্রাম ||

বালিকা বিয়ে করার বিষয়টি রাষ্ট্রিক তদন্তে প্রমাণিত হয়ো অবশেষে সাময়িক বরখাস্ত হলেন জেলার উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত সেই চেয়ারম্যান আবু তালেব। বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবু জাফর রিপন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে কেন চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বালিকা বিয়ে করার শাস্তি হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত চেয়ারম্যান আবু তালেব। ছবি: সংবাদ সারাবেলা

উল্লেখ্য, গত ১লা নভেম্বর রাতে উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন আবু তালেব। যদিও চেয়ারম্যান আবু তালেবের তার বাল্যবিয়ের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তার দাবী ছিল ওই সময় কনের বয়স ছিল কুড়ি। এটি কোনও ভাবেই বাল্য বিয়ে নয়। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে স্থানীয় প্রশাসন বিয়ের ঘটনা তদন্ত করে। পরে তদন্ত শেষে বাল্যবিয়ের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেব বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অমান্য করে জন্ম তারিখ পাল্টে জনৈক বর্ণিতা ওসমান বর্নিকে বিয়ে করার অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসক কুড়িগ্রাম, স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪(১) অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছেন। চেয়ারম্যান আবু তালেবের এহেন অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদে ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিতে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ অমান্য করার অভিযোগে স্বীয় পদ হতে চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলেও ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয় তাকে চুড়ান্ত বরখাস্তের বিষয়েও শোকজ করেছে। তার জবাবে পরবর্তী ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় নেবে।

সংবাদ সারাদিন