বারপোস্ট ভেঙ্গে ঈশ্বরদীর রাস্তায় ভারী যান চালাচ্ছে বালুব্যবসায়ীরা

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা) ||

ড্রামট্রাক চলাচলের সুবিধা করতে রাতের আঁধারে ঈশ্বরদীতে এলজিইডি’র দেয়া সবগুলো বারপোস্ট ভেঙে দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা। রাস্তার ক্ষতি ঠেকাতে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধে গত বছরের নভেম্বরে এলজিইডি’র উদ্যোগে এসব বারপোস্ট দেয়া হয়েছিল।
দীর্ঘ মেয়াদে রাস্তার স্থায়িত্ব ধরে রাখতে ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের চররূপপুর জিগাতলা স্কুলমোড়, লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া, এমপি মোড়, বিলকেদার ও সাহাপুর ইউনিয়নের বাবুলচারা ও ছিলিমপুর মোড়ে লোহার পাইপের বারপোস্ট দিয়েছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অফিস। মাত্র তিনমাসের মাথায় নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং ড্রামট্রাক চলাচলের সুবিধার্থে রাতের আঁধারে সবগুলো বারপোস্ট ভেঙ্গে দিয়েছে অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীরা।
বারপোস্টগুলো তুলে ফেলায় এসব রাস্তা দিয়ে আবারো বালু ও মাটি বোঝায় ট্রাক, ট্রাক্টর অতিরিক্ত ওজন নিয়ে দিনরাত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এতে রাস্তার বিটুমিন উঠে যাচ্ছে। রাস্তায় তৈরি হচ্ছে খানাখন্দ।  
এব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবিরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাস্তাগুলো দিয়ে সাধারনত ১৭ থেকে ২০ টন ওজনের গাড়ি চলাচল করার উপযোগী। কিন্তু বালু বোঝাই ড্রামট্রাক গুলোর ওজন হয়ে থাকে ৪০ থেকে ৫০ টন। এতে রাস্তাগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগনের ভোগান্তি দূর করতে বিভিন্ন পয়েন্ট এ বারপোস্ট দেওয়া হয়ছিলো। এগুলো ভেঙ্গে ফেলা ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। জনগনের চিন্তা না করে শুধু নিজেদের স্বার্থের জন্য বারপোস্ট ভেঙ্গে ফেলা অপরাধ। নতুন করে এসব বারপোস্ট বসানোর পাশাপাশি ফসলি জমি নষ্টকারী অবৈধ মাটি ও বালুর ব্যবসা বন্ধের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এরআগে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে বালু ও মাটি ভর্তি ভারী ট্রাক ও ট্রাক্টরগুলো দিনরাত ২৪ ঘণ্টা গ্রামের হালকা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো। এসময় ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে কাদা মাটি পড়ে রাস্তায় চলাচল কষ্টসাধ্য হতো। ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে বাতাসে বালু বের হয়ে পুরো রাস্তা অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যেতো। ১৭ টন ওজন ধারণ ক্ষমতার রাস্তায় ৪০ টন ওজনের যানবাহন চলাচলে মেরামতের কয়েকদিনের মধ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল রাস্তাগুলো। রাস্তা জুড়ে সৃষ্টি হতো অগভীর থেকে গভীর খানাখন্দের। ফলে ছোট ছোট যানবাহনে ভোগান্তিতে পড়তে হতো পথচারীদের।

সংবাদ সারাদিন