বাবার খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার দাবী ছেলে স্বজনদের

সেনা সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল কাইফুর ইসলাম জানান, গত ২২শে জুলাই উদয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির প্রাচির নির্মান কাজ চলছিলো। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল গনির পরিবার বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে গনির লোকজন পরিবারের সদস্যদের বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ধামইরহাট (নওগাঁ) ||

নওগাঁর ধামইরহাটে বাবার খুনিদের গ্রেফতার ও বিচার চাইলেন সেনাসদস্য ছেলে। বুধবার দুপুরে উপজেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে খুনিদের বিচার দাবি করেন সেনা সদস্য কাইফুর ইসলাম। ঘটনার সময় একটি ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।

উপজেলা প্রেসক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনা সদস্য ল্যান্স কর্পোরাল কাইফুর ইসলাম জানান, গত ২২শে জুলাই উদয়শ্রী গ্রামে নিজ বাড়ির প্রাচির নির্মান কাজ চলছিলো। এ সময় প্রতিবেশী আব্দুল গনির পরিবার বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে গনির লোকজন পরিবারের সদস্যদের বাঁশ ও রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটায়। এতে সেনা সদস্যের বাবা ইসমাইল হোসেন গুরুত্র জখম হয়। চিকিৎসার জন্য প্রথমে ধামইরহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ও সবশেষে জখমির অবস্থা গুরুত্র হলে বগুড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিলে মধ্যরাতে চিকিৎসক ইসমাইল হোসেনকে মৃত ঘোষনা করে।

ওই সেনা সদস্য আরও জানান, ঘটনার পর ১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা হলেও মূল আসামীসহ অধিকাংশরাই রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাহিরে। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের পরিবারে শংকা প্রকাশ করেছেন। সম্মেলনে দ্রুতই আসামীদের গ্রেফতার করে আইনী শাস্তি নিশ্চিতের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানানো হয়।  সম্মেলনে মামলার বাদী ও মৃত ইসমাইলের স্ত্রী মেহেরুন নেছা, ভাই মাইনুল ইসলাম, জামাই খাইরুল ইসলাম, চাচাতো ভাই সেকেন্দার আলী, ভাতিজা আশিক ইসলাম, নারী নেত্রী ও সমাজসেবী মাহফুজা সরকারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

ধামইরহাট থানার ওসি আবদুল মমিন জানান, ঘটনার বিষয়ে হত্যা মামলা রুজু হয়েছে এবং ৪ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকীদের গ্রেফতারে থানা পুলিশ মাঠে কাজ করছে।

সংবাদ সারাদিন