|| সারাবেলা প্রতিনিধি, রংপুর ||
খাবার খেয়ে টাকা না দিয়ে হোটেল মালিককে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে দুই মেয়েকেও শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে মাকেও। ঘটনাটি ঘটেছে গেল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে রংপুরের গংগাচড়া থানার বড়বিল ইউনিয়নের পাকুরিয়া শরীফ পাল্লার হাটে।
এলাকার ৪/৫ জন যুবক মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে সিরাজ মিয়ার দোকানে আসে। সবাই মিলে প্রায় দেড়শ টাকার পিঠা ও পেঁয়াজু খেয়ে চলে যেতে থাকলে টাকা চান সিরাজ মিয়া। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিরাজ মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে সিরাজ মিয়ার ওপর চড়াও হয় দুর্বৃত্তরা। জানতে পেরে সিরাজ মিয়ার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৩৬), মেয়ে তানিয়া আক্তার (১৬) এবং আপন খাতুন (১৪) হাটে ছুটে আসে এবং বাবাকে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বখাটে এসব যুবক স্থানীয় মোতাহার আলীর নির্দেশে সিরাজ মিয়ার ওপর চড়াও হয়। সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ও দুই মেয়েকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরনের জামাকাপড় ছিড়ে ফেলে। হাটের লোকজনের সামনেই দুই মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টাও করে বখাটে যুবকরা।
একপর্যায়ে রক্তাক্ত সিরাজ মিয়া ও তার স্ত্রী মেয়েদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে গংগাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মেয়ে আপন আক্তারের অবস্থা বেগতিক হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আসপাশের দোকানীরা জানান, দুর্বৃত্তরা প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল নষ্ট করেছে। এবং নগদ ৭৩ হাজার ২শ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ঘটনাস্থলে আসেন এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। গংগাচড়া মডেল থানার অফিসার ইন চার্জ পৃথ্বীশ কুমার সরকার ও পুলিশ পরিদর্শক জনাব ফরিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, এই ঘটনায় স্থানীয় মোতাহার আলী, দুলাল মিয়া, সৌরভ হোসেন, মিথুন মিয়া, ও রানা মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো দুই তিন জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, মোতাহার আলীর প্রশ্রয়ে বখাটে মিথুন ও রানা মিয়া দলবল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় প্রভাব বিস্তারের পাশাপাশি নানা ধরণের দুর্বৃত্তপনা ও বিশৃঙ্খল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এদের হুমকি ধমকিতে অতিষ্ঠ দোকানদার ও এলাকার মানুষ এসব দুর্বৃত্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।