বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় আটক চার চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া ||

বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার আটক এরা হলেন, কয়া বাঘা যতীন ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ‌্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, অধ্যক্ষ হারুনর রশিদ, নৈশ প্রহরী খলিলুর রহমান ও কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে ৩ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার সকালে বাঘা যতীন কলেজ চত্বরে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙা দেখে তারা পুলিশকে খবর দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিপ্লবী বীর বাঘা যতীনের মুখ ও নাকের একাংশ ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার পর আমরা প্রশাসনিকভাবে যেভাবে দুর্বৃত্তদের আটক করেছি, এ ঘটনায়ও খুব দ্রুত দোষীদের খুঁজে বের করা হবে।’

কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, সকাল ১১টার দিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ইতোমধ্যে কুষ্টিয়া পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর তদন্ত কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাক, তাদের খুব দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে।

কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এস এম তানভির আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, এ মাসের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের পর সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ প্রতিনিধিত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানেই ভাস্কর্য আছে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখানে বাঘা যতীনের ভাস্কর্য রয়েছে সেটি আমাদের জানানো হয়নি। সে কারণে কলেজ কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিরাজুল ইসলাম।

সংবাদ সারাদিন