বাঁশ দিয়ে দিয়ে তিস্তার ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা

|| বাবলুর রহমান বারী, রংপুর থেকে ||

যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, নিবেদন ও মানববন্ধন করেও যখন কোন ফল মিলেনি তখন রংপুর কাউনিয়ার তিস্তা নদীর ভাঙ্গন থেকে বসতভিটা আর ফসলি জমি রক্ষায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

সরেজমিনে তিস্তা পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে নিজপাড়া ও তালুকশাহবাজ গ্রামের মানুষ এনজিও এবং বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের সহায়তায় বাঁশ সংগ্রহ করে বাঁধ নির্মাণ করেছে। নিজপাড়া গ্রামের স্বাধীন জানায় প্রতি বছর তিস্তা নদী শতশত বাড়ি ও ফসলি জমি গিলে খাচ্ছে। তিস্তা সড়ক সেতু থেকে ২কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য মন্ত্রী,এমপিসহ কর্তৃপক্ষের কাছে বহু আবেদন নিবেদ করেও কোন কাজ হয়নি। শুধু আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছে। অসহায় মানুষ গুলোর কথা কেউ ভাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা জানান, ভারতের গজলডোবায় পানি ছেরে দেয়ায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চলতি মৌসুমে আবারও ভাঙ্গন আতংক শুরু হয়েছে। নদী তীরবর্তী মানুষগুলো নিঘুম রাত কাটাচ্ছে। বহুবার বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে কাজ হয়নি। এখন শুনছি তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা, কবে হবে আমরা জানিনা। মানুষ আবাদি জমি ও বসত ভিটা হারাচ্ছে।

আঃ বাতেন জানান বিশেষ করে আতঙ্কে আছেন বালাপাড়া ইউনয়নের পাঞ্জরভাঙ্গা, নিজপাড়া, তালুকশাহাবাজ, টেপামধুপুর ইউনিয়নের কাজাইটারির, হরিচরনশর্মা, চরগনাই, বিশ্বনাথ, আজমখাঁ গ্রামের মানুষ গুলো। এলাকার মানুষ দিনে-রাতে পরিশ্রম করেও নদীর কিছু অংশে বাঁশ গাড়ে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করেছেন যাতে তাতের বসত ভিটা রক্ষা পায়।

তিস্তা বাঁচাও নদী বাচাও সংগ্রাম পরিষদ এর কাউনিয়া সভাপতি মোঃ আলম মিয়া জানান, গন উন্নয়ন কেন্দ্র ও অক্সফাম এর সহযোগীতায় ৩৫০০ বাশঁ ও শ্রমিক সহ এলাকার লোক মিলে জায়গায় জায়গায় বাঁশ গেঢ়ে বাঁধ নির্মান করা হয় যাতে ভাঙ্গন কমে।

বাঁশের বাঁধ দেয়ায় কিছুটা ভাঙ্গন কমবে বলে তিনি আশা করেন। এলাকবাসীর অভিযোগ উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে এখনো কোন ব্যবস্থা করা হয় নি। মানুষের বাড়ি-ঘর,ফসলি জমি রক্ষা দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছে এলাকবাসী।

সংবাদ সারাদিন