বন্য হাতির জন্য খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও প্রজণনসুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ

সভায় বক্তারা বন্য হাতির বর্তমান হোমরেঞ্জের আয়তন কমিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন তুলে ধরেন। বন্য হাতির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থলগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোয় পর্যাপ্ত খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও প্রজননের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তারা।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার ||

মানুষের সঙ্গে বণ্যপ্রাণীর সংঘাত নিরসন ও বন্য হাতি রক্ষায় করণীয় এবং জবরদখল করে রাখা বনভূমি পুনরুদ্ধারের মতো বিষয়ে সচেতনতামুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে কক্সবাজারে। বৃহস্পতিবার, ২৬শে নভেম্বর দুপুর ১২ টায় জেলার চকরিয়া উপজেলা মিলনায়তন মোহনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম।

সভায় বক্তারা বন্য হাতির বর্তমান হোমরেঞ্জের আয়তন কমিয়ে আনতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন তুলে ধরেন। বন্য হাতির গুরুত্বপূর্ণ আবাসস্থলগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোয় পর্যাপ্ত খাদ্য, নিরাপদ বাসস্থান ও প্রজননের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তারা।

ফাসিয়াখালী ও ফুলছড়ি রেঞ্জ, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ ও চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, মো. কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তহিদুল ইসলাম (উপ বন সংরক্ষক)।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় আলোচনায় অংশ নেন, চকরিয়ার সিনিয়র সাংবাদিক এমআর মাহমুদ, ফাসিয়া খালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজারা কলেজের অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজার ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন, খুটাখালী বন সহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মাষ্টার আবুল হোসেন, চকরিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মকসুদুল হক ছোট্টু।

বক্তারা আরো বলেন, বন্য হাতির মূল আবাসস্থলের উন্নয়ন করতে হলে হাতি অধ্যুষিত বনসংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী জনগণের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। বন্য হাতি অধ্যুষিত বনসংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী স্থানীয় জনগণকে জানতে হবে বন্য হাতিকে এড়িয়ে চলার কৌশল।

বন্য হাতি সম্পর্কিত সচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের পাশাপাশি প্রয়োজনে ধর্মীয় নেতা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, স্থানীয় সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদদের সরাসরি সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, বন খাল, সব দখল হয়ে যাচ্ছে। আমরা কেউ ভালো নেই এলাকায়। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারী জবরদখল করা বনভুমি পুর্ণরুদ্ধারে অভিযান চালানো হবে।সরকারী জমিতো পাকা দালান হলেও তা উচ্ছেদ করা হবে।পরিবেশ সুরক্ষার জন্য পরিবেশ এবং বনের প্রয়োজন। তাই বনবিভাগ যখনই সহযোগীতা চাইবেন তৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন