|| সারাবেলা প্রতিবেদন, ঢাকা ||
বন্যায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। শনিবার ঈদের দিনে আরো মারা গেছে চারজন। এদের দুইজনের বাড়ি কুড়িগ্রাম এবং অন্য দুইজনের বাড়ি টাঙ্গাইলে। এনিয়ে এবারের বন্যায় এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৫ জনে।
স্বাস্থ্যসেবা দফতর সূত্রে এতথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ১৯৯৮ সালের পর দীর্ঘসময়ের এই বন্যায় দেশের ১৫৯টি উপজেলা এখন পানির নিচে। বিস্তর ক্ষতিতে পড়েছে এসব উপজেলার মানুষের আবাসন, কৃষি ও প্রাণীজ সম্পদ। সবথেকে বেশী ক্ষতিতে পড়েছে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও নওগাঁর মানুষ।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানাচ্ছে, দেশের ১৯টি নদীর পানি ২৭টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। ভেসে যাচ্ছে মাছের ঘের, ডুবছে ফসলের ক্ষেত।
আগামী চব্বিশ ঘন্টায় ব্রহ্মপূত্রের পানি আরো বাড়তে পারে। তবে অপরিবর্তিত থাকবে পদ্মার অবস্থা। অন্য নদনদীর পানি আগামী দুইদিনে কিছুটা হলেও কমতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাষ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
এছাড়া কুড়িগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জে বন্যাপরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও দেশের অন্য জেলাগুলোতে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
এরইমধ্যে আগামী তিনদিন সারাদেশে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।