বন্যার ক্ষতিতে গাইবান্ধার সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল

বানের পানিতে তলিয়ে গেছে বীজতলা ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। শেষ সম্বল বাঁচাতে গলা পানিতে নেমে পাট কাটতে শুরু করেছেন অনেকে

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, গাইবান্ধা ||

পরপর দু’দফা বন্যায় ক্ষতিতে পড়েছে গাইবান্ধা জেলার ধান ও পাটসহ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা। ভারী বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে জেলার সদর, ফুলছড়ি, সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার ২৮টি ইউনিয়নের দুই লাখের বেশী মানুষ এখন পানিবন্দি।

বানের পানিতে তলিয়ে গেছে বীজতলা ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। শেষ সম্বল বাঁচাতে গলা পানিতে নেমে পাট কাটতে শুরু করেছেন অনেকে।

গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্র বলছে, প্রথম দফা বন্যায় ১৪০০ হেক্টর ও চলমান দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৩ হাজার ১১৬ হেক্টর জমির আউশ ধান, আমন বীজতলা ও সবজিসহ বিভিন্ন ধরণের ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে শুধু পাটই রয়েছে ২ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলার মোল­ারচর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ১ একর জমিতে পাট ও এক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেছিলেন তিনি। বন্যায় এর সবই এখন পানির নিচে। ঋণ শোধ আর সামনের দিনগুলোতে কীভাবে বাঁচবেন সেই চিন্তাই এখন তাকে দিশেহারা করে তুলেছে।

গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে আমন বীজতলা প্রস্তুত করা হচ্ছে। এসব চারা কৃষকদেরকে দেওয়া হবে। এছাড়া কৃষি ভিত্তিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করাও হচ্ছে বলে জানান সরকারের এই কর্মকর্তা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সংবাদ সারাদিন