|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ফেনী ||
ফেনীতে জব্দ করা হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইনের পাইপ, ৪২টি রাইজার। একইসঙ্গে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে আড়াইশ’টির চুলার সংযোগ।
বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ এবং ভ্রাম্যমান আদালত গত বুধবার এই অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন ফেনী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ভূঁঞা ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার এন, এম আব্দুল্লাহ আল মামুন। অভিযানে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নোয়াখালীর উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী মোহাম্মাদ সোলায়মান, উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সগির আহম্মেদ, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ফেনীর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. সাহাব উদ্দিন, ব্যবস্থাপক (রাজস্ব ও হিসাব) মো. আবুল বাসার ভূঁঞা, কুমিল্লা প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলামও অংশ নেন। আইন শৃংখলা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা সহায়তা দেয় পুলিশ ও র্যাব।
বাখরাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ সুত্র জানায়, গত বুধবার সকাল ১০টার দিকে অবৈধ গ্যাস লাইন পাইপ-রাইজার উচ্ছেদ ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে। অভিযানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা থেকে শুরু করে ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনির আহম্মদের বাড়ীর সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়। এছাড়া আব্দুল হকের দোকান হয়ে মীর বাড়ী, হোসেনের বাড়ী,আনু কাজী ভূঁঞা বাড়ী,আনছু করিম ভূঁঞা বাড়ী,আজম বলি ভূঁঞা বাড়ী, হানু হাফেজ বাড়ী,কাজী সফি উল্ল্যাহ বাড়ী,ছেরাং পাড়া পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পুলিশ ও র্যাবের সহায়তায় সাড়ে তিন কিলোমিটার পাইপ লাইন, ৪২টি রাইজার উচ্ছেদ-জব্দ এবং প্রায় ২৫০টি চুলার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
প্রসঙ্গত- ইতিপুর্বে ২০১৮ সালে এক অভিযানে এলাকায় অবৈধ গ্যাস পাইপ লাইন, রাইজার উচ্ছেদ এবং চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় আবারও অবৈধ পাইপ লাইনের সংযোগ দিয়ে বাড়ীতে বাড়ীতে রান্নার কাজ চলতে থাকে।