|| তাইফুর সরোয়ার ||
দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় “পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি “। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। সপ্তাহ খানেক আগেও যেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হতো ৪০-৫০ টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খুচরা ব্যাবসায়ীরা দায়ী করছেন পাইকারী ব্যবসায়ী ও মজুদদারদের, আর পাইকারী ব্যবসায়ী দোষ দিচ্ছেন খুচরা ব্যাবসায়ীদের।
সরকারের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দাম বাড়ার জন্য পাইকারী ও খুচরা ব্যাবসায়ীদের সাথে সাথে ভোক্তাদের প্রয়োজনাতিরিক্ত পেঁয়াজ কেনাকেও দায়ী করছেন। ভোক্তাদেরই বা দোষ কি! তাদের রয়েছে গত বছরের ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কেনার তেতো অভিজ্ঞতা। তাই অনেকেই খাওয়ার জন্য প্রয়োজনের চেয়ে ২/১ কেজি পেঁয়াজ বেশি কিনছেন।
শুধু কি পেঁয়াজের বাজারেই ঝাঁজ বেড়েছে? না, শুধু পেঁয়াজ নয়, চালসহ নিত্যপন্যের সবগুলোর দামই উর্ধ্বমুখী। বর্তমানে বাজার মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৪৭ টাকা, আলু ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, লাউ ১০০-১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০-২২০ টাকা, মূলা ৫০-৬০ টাকা।
করোনাকালীন এই সময়ে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের একটা বড় অংশের আয় কমে গেছে, চাকরি হারিয়েছে অনেকেই। তাই নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামের সাথে পেরে উঠতে পারছে না দেশের সীমিত আয়ের লোকজন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় শরীরে এন্টিবডি তৈরিতে প্রয়োজন বিভিন্ন ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারনে যেখানে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য চাল, ডাল, সবজি কিনতে হিমসিম খাচ্ছে, বাড়তি পুষ্টি গ্রহণ সেখানে অলীক কল্পনা!
শুধু পেঁয়াজ নয়, নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসুক- এটা এখন প্রতিটি মানুষের জোর দাবী।
লেখক: সাংবাদিক ও সংবাদ সারাবেলার ভোলা প্রতিনিধি।