|| সারাবেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ||
সিলেট জেলার সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে ৭২ ঘন্টা পরিবহণ ধর্মঘটের একাত্মতা জানিয়ে হবিগঞ্জেও কোন পরিবহন চালাচ্ছেন না চালক মালিকরা। পাথর কোয়ারি খুলে দেয়ার দাবিতে এই ধর্মঘট করছে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।এদিকে কোন পরিবহন না চলায় যাতায়াত দুর্ভোগ বেড়েছে জেলাজুড়ে।
বুধবার ২৩শে ডিসেম্বর জেলার ধুলিয়াখাল বাইপাস সড়কে ট্রাক, পিকআপ আটকে চলছে জেলা ট্রাক সমিতির আন্দোলন। সিলেট বিভাগীয় সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলমান থাকবে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা।
২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের সকল পাথর কোয়ারিগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত, এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সত্ত্বেও পাথর উত্তোলনের দাবি জানিয়ে আসছেন পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা।
প্রায় এক বছর ধরে সিলেট বিভাগের অধিকাংশ পাথর কোয়ারী বন্ধ রয়েছে, এর সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত প্রায় ১২ লক্ষ শ্রমিক মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে বক্তব্য রাখেন শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।
তবে হঠাৎ কেন পরিবহন মালিক শ্রমিকের মাথা ব্যাথা এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন করলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা জানান পরিবহনের এক মাত্র পাথর খেয়ারী, দীর্ঘদিন পাথর খেয়ারী গুলো বন্ধ থাকায় পথে নামতে বসে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিকরা, যতক্ষণ পর্যন্ত এই দাবি না মানা হবে এই আন্দোলন আরো বেগবান হনে বলে জানান তারা।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা ট্রাক শ্রমিক সমিতির সেক্রেটারি সহিদুর হক জানান সিলেট বিভাগীয় মালিক, শ্রমিক সমিতির আহবানে আমাদের এই ধর্মঘট বিভাগীয় সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমাদের এই ধর্মঘট চলমান থাকবে। জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সেক্রেটারী গোলাম ফারুক জানান, আমাদের দাবি না মানলে এই ধর্মঘট চলমান থাকবে, এবং অতিবিলম্বে সকল পাথর খেয়ারী গুলো খুলে দিতে হবে।