|| উপজেলা প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ী(জামালপুর) ||
করোনারোধে জনদূরত্ব মেনে চলাকে অন্যতম প্রতিষেধক বলা হলেও তা মানানোর কোন ব্যবস্থাই রাখছে না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (আরইবি) সরিষাবাড়ী জোনাল অফিস ও তারাকান্দি অভিযোগ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতিতে মাইকিং করে গ্রাহকদের বিল পরিশোধের তথ্য জানানো হচ্ছে। অন্যথায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার হবে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, আরইবি’র লোকজন গেলে তাদেরকে বিল পরিশোধের কপি দেখাতে না পারলে বিচ্ছিন্ন করা হবে সংযোগ।
এই পরিস্থিতিতে বিল পরিশোধে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গ্রাহকরা। কিন্তু আরইবি’র বিল পরিশোধ কেন্দ্রে নেই কোন স্বাস্থ্যবিধি মানানোর ব্যবস্থা। তাই বাধ্য হয়েই গায়ে গা লাগিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ করছেন গ্রাহকরা। এতে করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

বৃহস্পতিবার ২৮শে মে সকাল ৯টা থেকে জামালপুর পল্লী বিদ্যুত সমিতির অধীন সরিষাবাড়ী জোনাল অফিস ও তারাকান্দি শাখা অফিসে স্বাভাবিক সময়ের মতই বিদ্যুত বিল নিতে দেখা গেছে। সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঝামেলা এড়াতে প্রতিদিনই সকাল থেকে স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রামের পল্লী জনপদের সাধারণ মানুষ বিল দিতে ভিড় করছেন।
বিল নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন জামালপুর পল্লী বিদ্যৃৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ। আর সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডিজিএম প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফা জানান, তাদের অফিস ও তারাকান্দি অভিযোগ কেন্দ্রে বিল নেয়া হচ্ছে। গ্রাহকদেরকে তিন ফুট করে দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে। তবে, কোন সার্কেল বা বৃত্ত করা হয়নি, প্রয়োজন হলে করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে তার দাবি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনেই বিল পরিশোধ করার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।
এমনভাবে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে জনসমাগম তৈরি করে বিল নেওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। তারা বলছেন, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সরকার বিভিন্ন ধরণের ঋণ বা পরিসেবা বিল আদায়ে ছাড় দিলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এমন আচরণ কতটা মানবিক তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।