|| সারাবেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ ||
পদ্মা সেতুর মূল কাঠামো এখন পুরোপুরি দৃশ্যমানের পথে। ৪১টি স্প্যানের মধ্যে বাকি আছে মাত্র একটি স্প্যান বসানোর কাজ। শুক্রবার ৪ঠা ডিসেম্বর সকালে সেতুতে বসেছে ৪০তম স্প্যান। ৩৯তম স্প্যান বসানোর সাত দিনের মাথায় সেতুর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া অংশে মাঝ নদীতে ১১ ও ১২ নম্বর পিলারে ৪০তম স্প্যানটি বসানো হলো। এতে দৃশ্যমান হলো সেতুর ছয় হাজার মিটার বা ছয় কিলোমিটার অংশ।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূলসেতু) দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, বৃহস্পতিবার ১৫০মিটার দৈর্ঘ্যের ৪০তম স্প্যানটি বসানোর জন্য মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নিয়ে ভাসমান ক্রেন তিয়াইন-ই নির্ধারিত পিলারের কাছে নিয়ে নোঙর করে রাখা হয়। কারিগরি অন্যান্য কাজও সম্পূর্ণ হওয়ায় শুক্রবার সকালে পিলরের ওপর তুলে স্থাপন করা হয়েছে।
৪০তম স্প্যান বসে যাওয়ায় সেতুতে বাকি রইল মাত্র ১টি স্প্যান বসানো । ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রকৌশলীদের। এদিকে স্প্যান বাসানো ছাড়াও অন্যান্য কাজও এগিয়ে চলেছে। এরমধ্যে সেতুতে ১৮০০ রেলওয়ে ও ১২০০ রোড ওয়েস্ল্যাব বসানো হয়েছে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে বসানো হয় ৪০টি স্প্যান। এতে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতুর ৬ কিলোমিটার।
৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। সব কটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড।
৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আগামী ২০২১ সালেই খুলে দেয়ার কথা রয়েছে পদ্মা সেতুর।