নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার চর্মকার (মুচি) সম্প্রদায়। পাশাপাশি অনেক পরিবার। সবাই দিন আনে, দিন খায় । করোনায় কাজ তেমন নেই বললেই চলে। বেঁচে থাকা দিনকে দিন কষ্ট হয়ে যাচ্ছে যেন। অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের গ্রুপ ‘সংযোগ।কানেক্টিং পিপল’র সমন্বয়ে অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বাংলাদেশ ইমার্জেন্সি একশন এগেইন্স্ট কোভিট-১৯ (বিকন)-এর কর্মী ও নেত্রকোনার আরেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তদানে নেত্রোকোনা’র ২১ স্বেচ্ছাসেবীরা মঙ্গলবার নেত্রোকোনার ঋষিপাড়ায় এই চর্মকার সম্প্রদায়ের ২৫০ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
অনলাইন ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের গ্রুপ ‘সংযোগ। কানেক্টিং পিপল’র সমন্বয়ে অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় বাংলাদেশ ইমার্জেন্সি একশন এগেইন্স্ট কোভিট-১৯ (বিকন)-এর কর্মী ও নেত্রকোনার আরেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘রক্তদানে নেত্রোকোনা’র ২১ স্বেচ্ছাসেবী রোজা রেখে, রাতদিন খেটে মঙ্গলবার নেত্রোকোনার ঋষিপাড়ায় এই চর্মকার সম্প্রদায়ের ২৫০ পরিবার পেল ১ মাসের খাবার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এই প্রচেষ্টায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন খাদ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল এহসান ও প্রাণ গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার অনিমেশ সাহা । বিদেশ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের এক সাবেক শিক্ষার্থী যুক্ত হন আর্থিক সহায়তা দিয়ে। এভাবেই একটি গল্প তৈরি হয় মানুষের পাশে দাঁড়াবার।
সংযোগের এই ধারাবাহিক উদ্যোগ সম্পর্কে সংযোগের সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রকৌশলী আহমেদ জামাল বলেন, করোনার নানা ভাবে আমরা মানুষের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি। আমাদের উদ্যোগগুলোকে সহায়তা করে যাচ্ছেন অসাধারন সব মানুষ আর প্রতিষ্ঠান। সংযোগ পরিবার তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ। নেত্রকোনার ২৫০ চর্মকার পরিবারকে ১ মাস ক্ষুধার কষ্ট করতে হবে না, এর চেয়ে প্রশান্তির কিছু নেই। আমরা সবাই মিলে সবার পাশে দাঁড়ালেই বাংলাদেশ কোভিড বিপর্যয়ে ঘুরে দাড়াতে পারবে।
অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী শায়েস্তাগীর চৌধুরী জানান, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনায় কর্মহীন পড়া মানুষদের পাশে নানা ভাবে আমরা পাশে দাঁড়াতে চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে আমরা খাদ্য সহায়তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি। আপনার সামর্থ্য যাই হোক, বিপদের দিনে দেশের মানুষের পাশে দাড়াতেই পারাটাই সবচেয়ে জরুরি কাজ বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ ইমার্জেন্সি একশন এগেইন্স্ট কোভিট-১৯ (বিকন)-এর প্রতিষ্ঠাতা আশফাক কবির বলেন, এই দূর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়াতেই বিকনের পথচলা। লকডাউনে যেসব পেশার মানুষ কষ্টে আছে, আমরা তাদেরকে গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিচ্ছি। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সসা/নাআ/সেখা