|| সারাবেলা প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ ||
নির্ধারিত সময়ে শেষ করা গেলো না সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার মহালিয়া হাওরবাঁধ। এখনো শেষ হয়নি অনেক পিআইসি কমিটির মাটি ভরাটের কাজ। বিশেষ করে ১৫ ও ১৬ নম্বর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাটি ভরাট না হওয়ায় দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। আবার এমন অভিযোগ রয়েছে যে, অনেক পিআইসিতে বাঁধের পাশ থেকেই মাটি নিয়ে তাতেই সংস্কার করা হয়েছে বাধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ। সঠিকভাবে করা হচ্ছে না কমপ্যাকশন বা দুরমুজের কাজও। এভাবে নানা অনিয়ম করে রাষ্ট্রের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পিআইসিগুলো।
২০১৭ সালে হাওরে বন্যায় ফসলের বিস্তর ক্ষতির পর হাওরবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে সরকার কাবিটা নীতিমালা-২০১৭ করে। নীতিমালায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে ঠিকাদারি প্রথা বাতিল করে কৃষকদের সমন্বয়ে পিআইসির মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ করার নীতি চালু হয়। সেমতো নির্ধারিত ২৮শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে এসব বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অনেকগুলোর কাজই শেষ হয়নি এখনো। যে কারণে যারপর নাই দু:শ্চিন্তায় পড়েছেন হাওরের কৃষকরা।
হাওরের কৃষক রফিক বলেন, সামনে আসতেছে বৃষ্টির দিন, আজও হাওরে বাঁধের মাটি ভরাট কাজ শেষ করা হয়নি। জানি না কবে শেষ হবে। দ্রুত কাজ শেষ না করা হলে বাঁধ মজবুত হবে না।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, আমাদের আশা ছিল এবছর নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে। কিন্তু অনেক প্রকল্পের কাজ এখন পর্যন্ত শেষ হয়নি। যার ফলে যেকোনো সময় ফসল হুমকির মধ্যে পরতে পারে।
এ বিষয়ে মো. রাকিবুল হাছান (উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব,উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তা পাউবো, তাহিরপুর) বলেন, বাঁধের কাজ করার সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৭ই মার্চের মধ্যে শেষ না হলে আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ (উপজেলা কমিটির সভাপতি) বলছেন, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছু সময় বাড়িয়ে ৭ই মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। উক্ত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা না হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী জেলা কমিটির সদস্য সচিব মো. সবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।