ধোবাউড়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভূমি অফিস বিপাকে সুবিধাভোগীরা

দীর্ঘদিনের অযত্ন অবহেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের আশপাশে ময়লা আবর্জনায় দূষিত হয়ে রয়েছে পরিবেশ, আবার ডাক্তারদের কক্ষেও ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এক অফিসে দুই ধরণের সেবা নিতে আসার মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ ||

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের অফিসেই চলছে স্থানীয় ভূমি অফিসের কার্যক্রম। ভূমি অফিসের নতুন ভবন নির্মাণের প্রায় চার বছর হতে চললেও তা শেষ হচ্ছে না। তাই ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ভূমি অফিসের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। যে কারনে একটি অফিসে আরেকটি অফিসের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে তৈরি হয়েছে বিশৃংখল এক অবস্থা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের অযত্ন অবহেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের আশপাশে ময়লা আবর্জনায় দূষিত হয়ে রয়েছে পরিবেশ, আবার ডাক্তারদের কক্ষেও ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এক অফিসে দুই ধরণের সেবা নিতে আসার মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে।

স্থানীয় আবুল কাশেম জানান, দীর্ঘদিন ধরে করোনার অজুহাতে এখন পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে চিকিৎসা সেবা, তবে বন্ধ নেই ভূমি অফিসের কার্যক্রম। ভূমি অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে নিয়মিতই খোলা হচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ফটক, এ সুযোগ নিয়ে ডাক্তাররা অনুপস্থিত থাকেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে এলাকাবাসী।

পোড়াকান্দুলিয়া গ্রামের আব্দুল মতিন জানান, গত দেড় বছরের মধ্যে একবার মাত্র ডাক্তার এসে কোনমতে এক ঘন্টা সময় দিয়েই চলে গেছেন। নামেই শুধু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, কার্যক্রমে সেটি ভূমি অফিস। সেবা নিতে রোগীদের যেতে হচ্ছে প্রায় ১৫ কিমি রাস্তা পারি দিয়ে যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাইছেন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কর্মকর্তা সুলতান আমিন আহমেদ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমাদের ডাক্তার সংকট থাকায় পুরোপুরি সেবা দিতে পারছিনা।

সংবাদ সারাদিন