ধামইরহাট পৌরনেতা হলেন আওয়ামী লীগের আমিনুর রহমান

নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মো. আমিনুর রহমান আবারও হলেন পৌরপিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক) মাহববুর রহমান চপল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারকেল গাছ) প্রতীকে এ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৯২ শতাংশ।

|| সারাবেলা প্রতিনিধি, ধামইরহাট (নওগাঁ) ||

নওগাঁর ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) মো. আমিনুর রহমান আবারও হলেন পৌরপিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতীক) মাহববুর রহমান চপল পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৯ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী (নারকেল গাছ) প্রতীকে এ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন পেয়েছেন ৩৬৩ ভোট। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৯২ শতাংশ।

শনিবার ৩০শে জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টায় উপজেলা সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বেসরকারি এই ফলাফল ঘোষণা করেন ধামইরহাট পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটানিং অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন। এর আগে সকাল ৮টা থেকে ব্যালটের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সারাদিন নারী পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ধামইরহাট পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছেন ১২ হাজার ৬৪০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬ হাজার ২২৭ জন এবং নারী ৬ হাজার ৪১৩ জন। ৯টি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে সর্বমোট ৩৮টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট হয়েছে।

অপরদিকে সংরিক্ষত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডে দ্বিতল বাস প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ১২২ ভোট পেয়ে সমাজসেবা রোগীকল্যাণ সমিতির আজিবন সদস্য জেসমিন সুলতানা নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি টেলিফোন প্রতীকে ছোবেদা খাতুন ছবি পেয়েছেন ১ হাজার ১০৭ ভোট। ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে অটোরিক্সা প্রতীকে মোসাম্মৎ. শাহানাজ বেগম ৯৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি চশমা প্রতীকে সেলিনা আকতার পেয়েছেন ৬২৯ ভোট এবং ৭,৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মোসা. মিনু আরা আংটি প্রতীক নিয়ে ৮৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সাথী রানী মহন্ত চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬০০ ভোট।

ভোটে সাধারণ কাউন্সিলর (পুরুষ) হিসেবে যথাক্রমে-১ নম্বর ওয়ার্ডে উটপাখি প্রতীক নিয়ে মো. আলতাব হোসেন ৭৭৪ ভোট পেয়ে বেসরকারীভাবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী মো. ওয়াদুদ ব্রিজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৩৭ ভোট। ২ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মুক্তাদিরুল হক পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ৭৮৯ ভোট পেয়ে পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে ওয়ালিউল হাসনাত পেয়েছেন ৪৪০ ভোট। ৩নম্বর ওয়ার্ডে পানির বোতল প্রতীক নিয়ে মাহবুব আলম বাপ্পী ৭২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মো. রেজুয়ান হোসেন পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৬৮ ভোট। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একরামুল হোসেন পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ৪৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নেছার উদ্দিন প্রিন্স ডালিম প্রতীকে পেয়েছেন ৩০৬ ভোট। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইব্রাহীম হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৩৭১ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাহবুব আলম উটপাখি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৩৩ ভোট।

এছাড়াও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে উমর ফারুক পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ৪০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন ৩৪৩ ভোট। ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমজাদ হোসেন টেবিল ল্যাম্প প্রতীক নিয়ে ৫১৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শামীম রেজা উটপাখি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭৯ ভোট। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। সাংবাদিক মেহেদী হাসান পানির বোতল প্রতীক নিয়ে ৬৪৬ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আশরাফ হোসেন চৌধুরী শিপন টেবিল ল্যাম্প প্রতীকে পেয়েছেন ২৭৫ ভোট এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে ৫৬৩ ভোট পেয়ে আব্দুল হাকিম পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রেজা তৌফিকুর রহমান পেয়েছেন ৪১৪ ভোট।

অভিযোগ রয়েছে, দুপুর শেষে ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ করায় পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে ভোটাররা ভোট দিতে না পারায় একরকম অসন্তোষ সৃষ্টি হলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়।

নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, বিজিবি টহলের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ছিল মোবাইল টিম।

 

সংবাদ সারাদিন